সারাদেশে চলমান বিভিন্ন সহিংসতা, অগ্নিসংযোগের মতো নাশকতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়াতে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
মঙ্গলবার বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দেশের বিমানবন্দরগুলোতে সতর্ক থাকার বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে বেবিচক।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগিব বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে শাহজালালসহ দেশের সব বিমান বন্দরে নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়াতে চিঠি দিয়েছে বেবিচক।
এতে বলা হয়, সব বিমানবন্দরের সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি, ভেহিক্যাল পেট্রোল, ফুট পেট্রোল বাড়ানোসহ মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। সম্ভাব্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক সব ধবনের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি রাখতে হবে।
এ ছাড়া সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ জনবল রাখা এবং সার্বিক ফায়ার সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রমও জোরদার করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে আরও যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে–
ক. কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
খ. বিমানবন্দরে শুধু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুমোদিত যাত্রীদের প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
গ. বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখতে হবে।
ঘ. বিমানবন্দরের প্রবেশ ও প্রস্থান পথে র্যান্ডম নিরাপত্তা তল্লাশি করতে হবে।
৬. যাত্রী, ক্যাবিন ব্যাগেজ, কার্গো ও যানবাহনের যথাযথ তল্লাশী নিশ্চিত করতে হবে।
চ. বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে স্পর্শকাতর এলাকা ও সীমানা প্রাচীর এলাকায় নিয়মিত ও ঘন ঘন নিরাপত্তা টহল পরিচালনা করতে হবে।
ছ. নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি (যেমন- স্ক্যানার, মেটাল ডিটেক্টর, সিসিটিভি ইত্যাদি) প্রতিদিন পরীক্ষা করে তাদের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।
জ. দায়িত্ব পালনের পূর্বে নিরাপত্তা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিতভাবে ব্রিফিং প্রদান করে সর্বদা সতর্ক অবস্থায় রাখতে হবে।
ঞ. কোনো সন্দেহজনক ব্যক্তি, বস্তু বা কার্যকলাপ শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
ট. সিসিটিভি মনিটরিং সেল ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় রাখতে হবে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঠ. গ্যাস লাইন, বৈদ্যুতিক লাইন ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনাসমূহ পরিদর্শনপূর্বক অগ্নি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
ড. বিমানবন্দরের অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তুতি ও সতর্কতা ২৪/৭ সক্রিয় রাখতে হবে।






