ইলেকট্রনের ঘূর্ণন-আবু এন এম ওয়াহিদ

কে দেখে ওদের ঘূর্ণন?
নিউক্লিয়াসের চারপাশে ছায়া—
কেউ বলে, সংখ্যা, কেউ বলে তরঙ্গ,

কেউ বলে সম্ভাবনা, কেউই বলতে পারে না—

এদের হৃদয় কোথায়।

বিজ্ঞান বলে, “আমরা জানি কেবল কীভাবে—
’কেন’, সেই প্রশ্নের উত্তর তো আমাদের

অজানা।” আর আমি শুনি, সেই না-জানার গভীর থেকে
একটি নরম ”কণ্ঠ” ভেসে আসে—
“আমি বলেছি—ঘুরো।”

ওই যে ইলেকট্রন,
যার কোনো পথ নেই, তবু সে পথেই চলে—
তার নেই কোনো গতি, তবু সে ঘূর্ণিতে বাঁধা—
সে জানে না, কেন সে ঘোরে,
আমি কি জানি, কেন আমি বাঁচি।

আলোর গতির নিচে
অদৃশ্য আদেশের মতো ঝলসে ওঠে তার পরিক্রমা—
বিজ্ঞান থেমে যায় সম্ভাবনার দরজায়,
ধর্ম খুলে দেয় সৃষ্টির আদেশপত্র:
হওএবং তুমি হলে।

যে শক্তি আমার নিঃশ্বাসে, তারই ছায়া সেই ঘূর্ণনে,
যে ইচ্ছা আকাশে নক্ষত্র বসিয়েছে,
তারই স্পর্শে ইলেকট্রন গান গায়—
অদৃশ্য বৃত্তে— নীরব, কিন্তু নিশ্চল নয়।

বিজ্ঞান জানে “কীভাবে,”
কিন্তু “কেন”—
সেটা লুকানো আছে এক অলৌকিক আদেশে,
যা একদিন বলা হয়েছিল
সৃষ্টির প্রথম আলো জ্বলার মুহূর্তে।

নভেম্বর ১, ২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *