তারকাদের নিয়ে বড় কোনো পরিকল্পনা নেই বিএনপির

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় সংগীতশিল্পী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল এই শিল্পীকে। আওয়ামী লীগ শাসনামলে সরকারি বাধায় পেশাগত সংগীতচর্চা চালিয়ে যেতে পারেননি এই শিল্পী। স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে না পারার বেদনা নিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশে না পারলেও ভিন্ন ভিন্ন দেশে কনসার্ট করেছেন এই শিল্পী। একই সঙ্গে অংশ নিয়েছেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও। এবারও তার প্রত্যাশা ছিল নীলফামারী-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া। কিন্তু ওই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মো. আব্দুল গফুর সরকারকে।

শিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা বরাবরই বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। শোনা যায়, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন করবেন তিনি। কারণ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরব হয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাধায় কনকচাঁপা নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারেননি সেবার। এলাকায় ঢুকতে না পেরে পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে সেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কনকচাঁপা সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।

আরও পড়ুন:  প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চার রাজনৈতিক দলের বৈঠক

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে আছেন। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার তাকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নিযুক্ত করে। তার প্রত্যাশিত ওই আসনে এখনো কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি দলটি।

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনির খানও রয়েছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায়। জাসাসের সাবেক এই নেতা পেশাগত ব্যস্ততা ছাড়া এখন বেশির ভাগ সময় নির্বাচনি এলাকা ঝিনাইদহ-৩ আসনের মানুষের সঙ্গে সময় কাটান। তার প্রত্যাশা ছিল ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) থেকে মনোনয়ন পাওয়ার। অথচ বিএনপি সেই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানকে।

শোনা যায়, খল অভিনেতা শিবা সানু বিএনপির হয়ে নির্বাচনে লড়তে পারেন। কিন্তু তাকেও কোনো আসনের প্রার্থী হিসেবে পাওয়া গেলো না। পাওয়া গেলো না অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এর আগে শিল্পী আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্‌সি, অভিনেতা হেলাল খানের নাম শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তাদের নাম আজ উচ্চারিত হয়নি।

আরও পড়ুন:  বিএনপি-জামায়াতের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো: সজীব ওয়াজেদ জয়

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, তারকাদের নিয়ে এবার বৃহৎ এ দলের তেমন বড় কোনো পরিকল্পনা নেই। শিল্পী-তারকাদের যে নামগুলো শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে অল্প কজনকে হয়তো প্রার্থী করা হতে পারে। অন্য এক সূত্র জানিয়েছে, আজ (৩ নভেম্বর) সোমবার ঘোষিত এই প্রার্থী তালিকা আদতে চূড়ান্ত তালিকা নয়। এই তালিকায় আরও বেশ কিছু রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া এখনো বহু প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়নি। ফাঁকা আসনগুলোতে জোটের প্রার্থী, বিএনপির নতুন প্রার্থী দেওয়া হতে পারে। ওই সময় হয়তো শিল্পী-তারকাদের নাম বিবেচনায় নেবে দলটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *