মধ্যপ্রাচ্যে ‘সরকার পরিবর্তন ও রাষ্ট্র গঠন’ নীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে এসেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড। গণতন্ত্রের প্রচার এবং হস্তক্ষেপমূলক নীতির বদলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি নজর দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তুলসি।
তিনি বলেন, “গত কয়েক দশক ধরে, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সরকার পরিবর্তন অথবা রাষ্ট্র গঠনে আটকে রয়েছে। যা ক্ষতিকর এবং এর কোনো শেষ নেই।”
“সবার ক্ষেত্রেই বিষয়টি ছিল এক রকম— সরকার পতন ঘটানো, অন্যদের ওপর আমাদের গঠিত সরকার চাপানোর চেষ্টা করা, এমন সব দ্বন্দ্বে হস্তক্ষেপ করা যেগুলো আমাদের বন্ধুর চেয়ে শত্রুর সংখ্যা বাড়িয়েছে।”
“ফলাফল কি?— ট্রিলিয়ন ডলার খরচ, অসংখ্য জীবনহানি এবং কিছুক্ষেত্রে বিশাল নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করা।”
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবাজের বদলে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে দেখানোর চেষ্টা সবসময় করে আসছেন। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ নিয়ে কাতারে তালেবান নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছিল।
তার আমলে চুক্তি হলেও পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় সেনাদের প্রত্যাহারের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু সেটিও ভালোভাবে হয়নি। ২০২১ সালে মার্কিন সেনারা অনেকটা তাড়াহুড়া করে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
অপরদিকে এবার তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সিরিয়ায় বাসার আল-আসাদের সরকারের পতন ঘটে। এতে নেতৃত্ব দেন সাবেক জিহাদী আহমেদ আল-শারা। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাকে উদার হাতে বরণ করে নিয়েছেন ট্রাম্প।
তুলসি গ্যাবার্ড তার ওই বক্তব্যে স্বীকার করেছেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে সেটি অনেক ভঙ্গুর। এছাড়া ইরান নিয়েও মন্তব্য করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক তুলসি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোগুলোতে নতুন করে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ







