প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্টে তিন সপ্তাহব্যাপী সহিংস আন্দোলনের পর তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার পতনের মধ্য দিয়ে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে।
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় সহায়তা করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির সময় হেলমেট, হাতকড়া এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে সাংবাদিক পান্নাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আরেক সাংবাদিকের ওপর হামলা করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের একজনের পরিবারের সদস্য বলেন, ‘এটি শুধু একটি আলোচনা অনুষ্ঠান ছিল, কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। তাহলে কিভাবে একে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে?’ তিনি আরো বলেন, ‘এই ব্যক্তিরা কারাগারে আছেন, কিন্তু যারা তাদের ওপর আক্রমণ করেছিল তারা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই সরকার সর্বোপরি আওয়ামী লীগ সরকারের মতোই মনে হচ্ছে।’
২০০৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রণীত হয়। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবির মুখে আইনটি সংশোধন করা হয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ সতর্ক করে বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের সংশোধনী ‘মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করবে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিধি সীমিত করবে, যা উদ্বেগজনক এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ।’ তবে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কোনো বিধি-নিষেধ আরোপের কথা অস্বীকার করেছেন ড. ইউনূস।
আইন সহায়তা এবং মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, জানুয়ারি থেকে মবের হামলায় কমপক্ষে ১৫২ জন নিহত হয়েছে। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা। হয় সন্ত্রাসী তকমা নিয়ে জেলে যাওয়া অথবা মবের শিকার হওয়া।’ তিনি বলেন, ‘আমি বলছি না যে দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত নয়, তবে এটি একটি ন্যায্য বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে হওয়া উচিত, যেটা ইউনূস সরকার দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার বন্ধ করা, যেটা শুধু রাজনৈতিক দমনের অপর নামে পরিণত হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত নিরাপদ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে মনোনিবেশ করা।’







