চলতি বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তিনজন বিজ্ঞানী। পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারে অবদান রাখায়  তাঁদের এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) সুইডেনের স্টকহোমে এক অনুষ্ঠানে নোবেল কমিটি এ ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের মেরি ই. ব্রাঙ্কো ও ফ্রেড র‌্যামসডেল এবং জাপানের শিমোন সাকাগুচি এ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাদের এই আবিষ্কার নতুন গবেষণাক্ষেত্রের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে এবং ক্যানসার ও অটোইমিউন রোগের মতো জটিল অসুস্থতার চিকিৎসা উদ্ভাবনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, দেহে বিশেষ এক ধরনের প্রতিরোধক কোষ রয়েছে-রেগুলেটরি টি সেলস, যাদের কাজ হলো আমাদের প্রতিরোধক কোষ যেন নিজের শরীরকেই আক্রমণ না করে, তা নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুন:  যুক্তরাষ্ট্র-জাপান ‘বিশাল’ বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা ট্রাম্পের

বর্তমানে এ আবিষ্কারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি সম্ভাব্য চিকিৎসা পদ্ধতির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। গবেষকদের আশা, ভবিষ্যতে এই আবিষ্কার কাজে লাগিয়ে অটোইমিউন রোগ নিরাময় বা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ক্যানসারের চিকিৎসায় আরও কার্যকর উপায় বের হবে। স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের পর দেখা দেওয়া গুরুতর জটিলতাও এভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে।

উল্লেখ্য, চিকিৎসায় নোবেল বিজয়ী এই তিন জন একত্রে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা) পুরস্কারের অর্থ পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *