সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাম্পের সতর্কতা—‘যুদ্ধের মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছেন, অপরাধ ও অভিবাসন থেকে যুক্তরাষ্ট্র এখন একটি ‘অভ্যন্তরীণ যুদ্ধের’ মুখোমুখি। দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এক বিরল বৈঠকে তিনি এ বক্তব্য দেন। 

পেন্টাগন প্রধান পিট হেগসেথের আহ্বানে বিশ্বজুড়ে থেকে আসা জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে রিপাবলিকান ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিত বেশ কিছু শহরে তার দমননীতিতে সেনাবাহিনীও যুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা একে একে তাদের ঠিক করব, আর এই কক্ষে উপস্থিত কিছু মানুষের জন্য এটি হবে বড় একটি দায়িত্ব।

এটিও এক ধরনের যুদ্ধ—এটি ভেতর থেকে আসা যুদ্ধ।’ ভার্জিনিয়ার কোয়ান্টিকোতে বিশাল আমেরিকান পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প।তিনি আরো জানান, তিনি একটি নির্দেশে স্বাক্ষর করেছেন যাতে সেনাবাহিনী দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর বিশেষ বাহিনী গঠন করবে, যা ‘অভ্যন্তরীণ শত্রু’ থেকে সৃষ্ট অশান্তি দমন করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এটি নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে, নইলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।

আরও পড়ুন:  কাল ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২ উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তবে প্রায় এক ঘণ্টার ওই অসাধারণ ভাষণের বেশিরভাগই ছিল রাজনৈতিক বক্তব্যে ভরা—যা প্রচলিত রীতির বাইরে, কারণ পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টরা সেনাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে সাধারণত দেশীয় রাজনীতিকে এড়িয়ে যেতেন।

শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা নীরব থাকলেও ট্রাম্প এ সময় গণমাধ্যমকেও আক্রমণ করেন এবং সাংবাদিকদের ‘অসৎ লোক’ বলে অভিহিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *