৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে মানবজাতির রহমত স্বরূপ প্রেরিত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোলে জন্ম নেন।
গতকাল শুক্রবার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জাতীয় মসজিদের পূর্ব ও দক্ষিণ সাহানে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলারও আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৬টি ইসলামিক মিশন ও ৮টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবন ও কর্ম সম্পর্কিত ওয়াজ-মাহফিল এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন।
একই সঙ্গে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৭ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৪টি ইসলামিক মিশন ও ৮টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘জশনে জুলুস’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম এ জশনে জুলুস (শোভাযাত্রা) ৫৪তম বারের মতো আয়োজন করছে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ও ১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুফিবাদী জনতার অংশগ্রহণে এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া।
শনিবার সংগঠনের সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম গেট থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন ও কদম ফোয়ারা সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার উদ্যানে এসে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।
এদিকে সকালে জামালপুরে জেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৭ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক। জামালপুর জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এস এম তরিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
এ ছাড়া দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে বিভিন্ন মিশন, দূতাবাস ও হাইকমিশনেও যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দঘন এই দিনটি।







