চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে সাঁকো ভেঙে কয়েকজন আহত

চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে আয়োজিত জশনে জুলুসে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় একটি লোহার সাঁকো ভেঙে পড়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুলুসে অংশ নিতে ভিড়ের চাপ সামলাতে না পেরে সাঁকোর একটি অংশ ভেঙে যায়। এতে হুড়োহুড়িতে অনেকে নিচে নালায় পড়ে আহত হন। স্থানীয়রা ও স্বেচ্ছাসেবীরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। এ ছাড়া নগরের মুরাদপুর এলাকায় ভিড়ের মধ্যে পড়ে অজ্ঞাতনামা একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই এলাকায় ভিড়ে আহত দুজন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শনিবার সকাল থেকে লাখো মানুষ নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুরাদপুর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সমবেত হন। সকাল ৯টায় আলমগীর খানকাহ থেকে শুরু হওয়া এ শোভাযাত্রা নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। লাখো মানুষের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ জুলুসে নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মা.জি.আ)। বিশেষ অতিথি হিসেবে রয়েছেন শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মা.জি.আ) ও সৈয়্যদ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ্ (মা.জি.আ)। বৃহস্পতিবার থেকেই তারা চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন।

আরও পড়ুন:  হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক

আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয় এবারের জুলুস। আয়োজকরা জানিয়েছেন, শরিয়ত সম্মত পরিবেশ বজায় রাখতে ড্রাম সেট বাজানো, নারীর অংশগ্রহণ এবং খাবার নিক্ষেপ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, রাসুল (সা.)-এর শুভাগমনের পনেরশ বছর পূর্তি এ বছর। একইসঙ্গে আনজুমান ট্রাস্ট শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম মিলাদ শোভাযাত্রা হিসেবে খ্যাত এ জুলুস এখন চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও মানবিক কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, ১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল থেকে চট্টগ্রামে প্রথম জশনে জুলুসের সূচনা হয়। গাউসে জামান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ্ (রহ.)-এর দিকনির্দেশনায় বলুয়ারদীঘি পাড় খানকাহ শরিফ থেকে আনজুমান সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে এসে শেষ হয়েছিল প্রথম আয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *