উত্তরায় পুলিশ-শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি, ২ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ দুই উপদেষ্টা-প্রেস সচিব

অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাওয়ার পর পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও বেশি জটিল আকার ধারণ করেছে।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার, প্রেস সচিব শফিকুল আলম মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এখনো অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তারা এই অবস্থায় আছেন।

বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে জানা গেছে, বেলা বাড়ার সাথে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজেসহ আশেপাশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেয়।

বেলা পৌনে একটার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার পর বের হয়ে আসেন উপদেষ্টারা। এসময় আইন উপদেষ্টা দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে উপদেষ্টারা আবার কলেজের ভেতরে ঢুকে যান।

আরও পড়ুন:  পুলিশকে অনলাইনে মামলা রুজুর ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসের ৫ নম্বর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন।  এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে  উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও সি আর আবরার   কলেজ পরিদর্শনে আসেন। সেখান থেকে বের হয়ে আসার সময় শিক্ষার্থীরা তাঁদের ঘিরে ধরে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকে।

দুই উপদেষ্টা পরে কলেজের ৫ নম্বর ভবনের নিচতলায় কনফারেন্স কক্ষে যান। তাঁদের সঙ্গে কলেজের শিক্ষকেরাও ছিলেন। সেখানে পাঁচ থেকে সাতজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সঙ্গে তাঁদের আলোচনা চলে। এ সময় বাইরে শত শত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।

বেলা পৌনে একটার দিকে উপদেষ্টারা কনফারেন্স কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন। এ সময় উপদেষ্টা আসিফ নজরুল শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। অভিভাবক হিসেবে ভালোবাসা জানাতে এসেছেন বলে জানান।

আরও পড়ুন:  রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন: প্রেস সচিব

আসিফ নজরুল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘যে বাহিনী খারাপ ব্যবহার করেছে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাই। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। আপনাদের সব দাবি মেনে নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন,  ‘যারা এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে তাদের পাশে দাঁড়াই। দোয়া করি।’

ওই সময় মাইলস্টোন ও অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা পুলিশের দিকে বোতল ছুঁড়ে মেরেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *