সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হলেও দেশের স্বাধীনতা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস হবে না বলে জানিয়েছেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।
বুধবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) প্যারেড গ্রাউন্ডে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এদিন ভাটিয়ারিতে ৮৮তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন হাসান মাহমুদ খান।
বিমানবাহিনী প্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় উন্নয়নশীল দেশ। দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান কাজ হচ্ছে সব বাহ্যিক ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় হুমকি থেকে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তারই অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী একের পর এক বিভিন্ন দায়িত্ব ও প্রকল্প সফল করার মাধ্যমে আজ দেশের একটি বিশ্বস্ত সংস্থায় পরিণত হয়েছে। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধ, দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের সর্বদা প্রস্তুত রাখতে হবে।
এ সময় নবীন কর্মকর্তাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি প্রশিক্ষণে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ১৫৫ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে ১২৮ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারী রয়েছেন। এছাড়াও কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে রয়েছেন ৪ জন ফিলিস্তিনি, যারা নিজ দেশের সেনাবাহিনীতে যোগদান করবেন। ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার সম্রাট জাবির, বিএমএ কোর্সের সেরা চৌকস ক্যাডেট হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য কোম্পানি সিনিয়র অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ মাসুম ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন।
বিদেশি ক্যাডেটদের মধ্যে ফিলিস্তিনের অফিসার ক্যাডেট সার্জেন্ট মোহাম্মদ ইসবে ‘বিএমএ ট্রফি অফ এক্সিলেন্স’ লাভ করেন। পরে প্রশিক্ষণ শেষ করা ক্যাডেটরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথ নেন। এরপর নবীন অফিসারদের র্যা ঙ্ক-ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হয়।