নির্বাচন ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয় বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি। মঙ্গলবার (২৭ মে) সিপিডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ কারণে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা জরুরি। এছাড়া, সরকার নির্ধারিত লক্ষ্য অনুযায়ী আগামী অর্থবছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব নয় বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নানা অস্থিতিশীলতায় কমেছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। ফলে, দারিদ্র্য ও বৈষম্য বাড়ায় দেশে কমছে কর্মসংস্থানের হার। সিপিডি বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে দেশের রাজস্ব ঘাটতি ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে। আর চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া, আগামী বছর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সরকার ব্যর্থ হবে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে একটা টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে কিন্তু এখন মনে হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করাটা যুক্তিযুক্ত হবে। আগামী অর্থবছরের মধ্যে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব কিনা। আমরা দেখতে পেয়েছি যে সেটা সম্ভব না।’
সিপিডি বলছে, নির্বাচন হলেই যে বাংলাদেশে দ্রুত প্রবৃদ্ধি হবে, তা না। সে জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে বলে জানান গবেষকরা। তারা বলেন, বাপেক্স, ব্যাংকিং খাত, এনবিআরসহ অন্যান্য খাতের ডিজিটালাইজেশনের জন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষার প্রয়োজন নেই।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অনেক কিছুই আছে যেগুলো আমাদেরকে করতে হবে। আমরা যদি ব্যাংকিং সংস্কারটাকে ভালোভাবে করতে পারি, অবৈধ অর্থের বিরুদ্ধে ভালো ব্যবস্থা নিতে পারি, আমরা যদি এনবিআরের সংস্কারটা ভালোভাবে করতে পারি তাহলে এটার ফলাফলটা আমরা পরবর্তীতে পাবো। কিন্তু এখন আমাদের বিনিয়োগ হবে না তার কারণ হলো যে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তো এটা করা যাবে না, সেটা কিন্তু না।’
সিপিডি বলছে, মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার নীতিগত অনুমোদনে অতিরিক্ত প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা সরকারি ব্যয় বেড়ে যাবে।