নুসরাত ফারিয়া কাশিমপুর কারাগারে

গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে। আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। 

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র সুপার কাওয়ালীন নাহার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুপুর আড়াইটার দিকে প্রিজন ভ্যানে নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে আনা হয়।’

এরআগে, সোমবার সকালে শুনানি শেষে নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারাজানা হক। তার জামিন শুনানির জন্য আগামী ২২ মে ধার্য করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টার দিকে নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক বলেন, নুসরাত ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে ছিলেন। তিনি একজন ফ্যাসিস্টের সমর্থক। অনেকের মতো তিনিও নাটক সিনেমার মাধ্যমে, অভিনয়ের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টের পক্ষ নিয়েছেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরোধিতা এবং মদদ দেন অন্যদের মতো। বিভিন্ন ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন:  প্রথম দিনেই ১০৬৪ মনোনয়নপত্র বিক্রি আওয়ামী লীগের

এ দিকে নুসরাতের আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হাসান বলেন, আমি আজকে নুসরাত ফারিয়ার পক্ষে বেইলের (জামিন) শুনানি করি। আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে- এই ঘটনার সময় নুসরাত বাংলাদেশে ছিলেন না। তখন তিনি কানাডাতে ছিলেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী যে বলেছেন- তিনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন, বিষয়টি যুক্তিযুক্ত না। নুসরাত এর আগেও একাধিকবার দেশের বাইরে যাওয়া-আসা করেছেন। ২৫৮ জন আসামির মধ্যে আমার মক্কেল (নুসরাত ফারিয়া) ২০৭ নম্বর।

তিনি আরও বলেন, আমি আজকে নুসরাত ফারিয়া পক্ষে বেইলের (জামিন) শুনানি করি। আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে এই ঘটনার সময় উনি বাংলাদেশে ছিলেন না। উনি কানাডাতে অবস্থান করছিলেন। সেটার প্রমাণ হিসেবে আমরা পাসপোর্টের ডিপার্টচার ও অ্যারাইভাল যে কাগজটা আছে সেটা আদালতে পেশ করি। আদালত সেটা গ্রহণ করে এবং আদালত এটা পুলিশকে দেয়।

আরও পড়ুন:  গাজীপুর সদর থানার ওসিকে বরখাস্তের ঘোষণা, গ্রেপ্তার ১৬

নুসরাতের আইনজীবী বলেন, জুলাই পরবর্তী সময়েও তিনি দেশের বাইরে ও ভেতরে কাজ করেছেন। দেশের বাইরে কয়েকবার গিয়েছেন। পালাতে চাইলে তিনি বর্ডার ক্রস করে পালাতে পারতেন। বিমানবন্দরে যেতেন না।

রোববার থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ডিএমপির ভাটারা এলাকায় শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টার মামলার তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *