ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

নিজেদের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। শনিবার (১৭ মে) দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশি তৈরি পোশাকসহ নির্দিষ্ট কিছু পণ্য কেবল নহাভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারত প্রবেশ করতে পারবে। স্থলপথে এসব পণ্য আর ঢুকতে দেওয়া হবে না।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা ভারতের হয়ে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, অর্থাৎ ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত পণ্য এতে বাধার মুখে পড়বে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কিছু নির্দিষ্ট পণ্য ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে আসায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন:  ভারতের হামলায় ২৬ বেসামরিক নিহত, আহত ৪৬: পাকিস্তান সেনাবাহিনী

এরপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে কোনো তৈরি পোশাক ভারতের কোনো স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র নহভা শেভা এবং কলকাতা সমুদ্র বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক ভারতে আসতে পারবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের কোনও শুল্ক পয়েন্টে, পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা এবং ফুলবাড়ি শুল্ক পয়েন্ট দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, তুলার বর্জ্য, প্লাস্টিকের পণ্য (পণ্য তৈরির জন্য নির্দিষ্ট উপকরণ ব্যতীত) এবং কাঠের আসবাবপত্র আমদানি করা যাবে না।

তবে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল এবং চূর্ণ পাথরের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কলকাতা এবং মহারাষ্ট্রের নেহভা শেভা বন্দর দিয়ে যেহেতু এখন শুধুমাত্র বাংলাদেশ এসব পণ্য আনতে পারবে এতে বাংলাদেশের এসব পণ্য পরিবহনের খরচ বাড়বে।

আরও পড়ুন:  এবার ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের ওপর সামরিক মহড়া দিল ভারত

গত মার্চে চীনের বেইজিংয়ে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো স্থলবেষ্টিত এবং এই অঞ্চলের সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ এমন মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এরপর ভারত বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে। সর্বশেষ এ পদক্ষেপ নিলো দেশটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *