ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী সাম্যর মৃত্যুতে প্রশাসনের অর্ধবেলা শোক প্রত্যাখান করে পূর্ণবেলা ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন ও ধর্মঘট পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী এ কর্মসূচি পালন করছে।

তারা আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন। এ ছাড়া পৌনে ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ঘুরে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা কলা ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ভবনে তালা দিয়েছেন।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে তারা এই কর্মসূচি পালন করছে। একইসঙ্গে সাম্য হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতএর দাবি জানান তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার কোনো ক্লাস কিংবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার এবং সব প্রশাসনিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন:  বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শনিবার ঢাকায় সমাবেশ
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য। হত্যার ঘটনায় সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ ডিএমপির শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ও আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে গতকাল বুধবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রদল। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার জন্য উপাচার্য ও প্রক্টরকে দায়ী করে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করা হয়।রাজধানীর শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে রাজাবাজারসহ রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ফার্মগেটে ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা করেন। অভিযোগ রয়েছে, গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে দুজন ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন।’

আরও পড়ুন:  আ. লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে: নাহিদ

আদালত থেকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পলাতক অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের ধরতে এবং হত্যার পূর্ণ তদন্তের জন্য আদালতের কাছে তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। আদালত আবেদন শুনানির জন্য রেখে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *