জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব চ্যানেলকে ব্লক করা হয়েছে—যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভি।
ডিসমিসল্যাব প্রথমে একটি ভারতীয় ভিপিএন সার্ভারে সংযুক্ত হয়ে পরীক্ষা চালায়। আইপি চেকার ওয়েবসাইট ‘হোয়াটস মাই আইপি অ্যাড্রেস’-এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যে, সংযোগটি ভারতীয় হিসেবে শনাক্ত হচ্ছে।
এই ফলাফল যাচাই করতে ডিসমিসল্যাব ওই চারটি চ্যানেলের লিংক নয়াদিল্লি ও কলকাতা-ভিত্তিক দুই সাংবাদিককে পাঠায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা নিশ্চিত করেন যে, ভারতে থেকে চ্যানেলগুলো অ্যাক্সেস করা যাচ্ছিল না।
জিও-ব্লকিং বলতে কোনো কনটেন্টে ব্যবহারকারীর ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে অ্যাক্সেস সীমিত করাকে বোঝায়। এ ক্ষেত্রে, প্রভাবিত বাংলাদেশি চ্যানেলগুলো বিশ্বব্যাপী অ্যাক্সেসযোগ্য থাকলেও ভারতের ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে কনটেন্টগুলো আড়াল করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতের প্রভাবশালী স্বাধীন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার ৯ মে জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটটি ভারতে পুরোপুরি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে তারা লেখে, ‘সংবিধানপ্রদত্ত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে ভারত সরকার thewire.in ওয়েবসাইটটিকে সারা দেশে ব্লক করেছে।’