শিকাগোতে জন্মগ্রহণকারী নবনির্বাচিত পোপ লিও চতুর্দশ তার প্রথম ভাষণ দেওয়ার জন্য সিস্টিন চ্যাপেলের বারান্দায় উপস্থিত হন।
গত ২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু হয়।
সাদা ধোঁয়া দেখা যাওয়ার পর সাধারণত ঘণ্টাখানেকের মধ্যে নতুন পোপ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের বারান্দায় এসে দাঁড়ান। এরপর কনক্লেভে অংশগ্রহণকারী একজন জ্যেষ্ঠ কার্ডিনাল আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন পোপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানান। তিনি ল্যাটিন ভাষায় চিৎকার করে বলেন, ‘হ্যাবেমাস পাপাম’, বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়, ‘আমাদের একজন পোপ আছেন।’
কার্ডিনাল এরপর নতুন পোপের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় নতুন পোপকে যে নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে, সেটি তার আসল নাম হতে পারে, আবার নাও হতে পারে।
নতুন পোপ বেছে নেওয়া হয় যেভাবে
যখন একজন পোপ মারা যান (অথবা পদত্যাগ করেন, যেমনটি ২০১৩ সালে পোপ বেনেডিক্ট ষোড়শের ক্ষেত্রে ঘটেছিল, যেটি ছিল বিরল ঘটনা), তখন ভ্যাটিকানে কার্ডিনালদের একটি সম্মেলন ডাকা হয়। তারপর কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হয়, যেটি পোপ নির্বাচনের সময় হিসেবে পরিচিত।
বর্তমান পোপের মৃত্যুর পর থেকে নতুন পোপ নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়কালে কলেজ অব কার্ডিনালসই গির্জার যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
সিস্টিন চ্যাপেলের ভেতরে, যেখানকার সব দেয়াল তুলির ছোঁয়ায় সাজিয়েছেন চিত্রশিল্পী মাইকেলেঞ্জেলো, সেখানে অনুষ্ঠিত হয় পোপ নির্বাচনের ভোট। কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে সেখানে কার্ডিনালরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন।
নতুন পোপ নির্বাচনের এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যেতে পারে। অতীতে এক সপ্তাহ, এমনকি এক মাস সময় ধরেও ভোট চলতে দেখা গেছে। ভোট চলাকালে কার্ডিনালদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছেন—এমন ঘটনারও নজির আছে।
এই সময় নতুন পোপ নির্বাচন কতটুকু এগোল, সেটি বোঝার একমাত্র উপায় হলো ধোঁয়া। নির্বাচন চলাকালে প্রতিবার ভোট শেষে নির্দিষ্ট চুল্লিতে ব্যালট পেপার পুড়িয়ে ফেলা হয়। এর ফলে দিনে দুইবার যে ধোঁয়া বের হয়, সেটিই নতুন পোপের বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়।
কালো ধোঁয়ার অর্থ হলো পোপ নির্বাচিত হননি। আর সাদা ধোঁয়া দেখার মানে হলো নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন।