অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ব্রিটিশ রাজনীতিতে খুবই চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শিক্ষার্থী ভিসায় গিয়ে আশ্রয় দাবি করা ব্যক্তিদের জাতীয়তাভিত্তিক কোনো তালিকা প্রকাশ করেনি যুক্তরাজ্য সরকার। তারা বলছেন, কাজের ভিসা, শিক্ষার্থী ভিসা কিংবা পর্যটন ভিসা নিয়ে আসার পরে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দাবি করার সম্ভাবনা পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি।
হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বেশ জোর দিয়ে জানান, নতুন এই পদক্ষেপগুলো অভিবাসনব্যবস্থার অপব্যবহার ঠেকাতে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘কাজ ও শিক্ষা ভিসায় এসে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দাবি করা বিদেশি নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণে তাদের প্রফাইল যাচাই-বাছাই করে গোয়েন্দা তথ্য তৈরি করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো, এসব ব্যক্তিদের যাতে দ্রুত শনাক্ত করা যায়।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অভিবাসন সম্পর্কিত শ্বেতপত্রে ভঙ্গুর অভিবাসনব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে।’
অর্থনীতি ও জন-আকাঙ্ক্ষার ভারসাম্য
এদিকে লেবার পার্টি অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি নিট অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে আনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দলটির আইন প্রণেতারা অভিবাসন ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সরাসরি পদক্ষেপ নিতেও সরকারে ওপর চাপ দিচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুতে অভিবাসননীতিতে পরিবর্তন আনার পর কাজ, শিক্ষা ও পারিবারিক পুনর্মিলনের ভিসা আবেদন আগের বছরের তুলনায় ৩৭ শতাংশ কমেছে দেশটিতে। এই পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে, বিদেশি পরিচর্যাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের পরিবার আনার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং দক্ষ কর্মীদের আয়সীমা বাড়িয়ে ৩৮ হাজার ৭০০ ব্রিটিশ পাউন্ড নির্ধারণ করা।
সরকার এখন এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, যার মধ্য দিয়ে বাণিজ্য, বিশ্ববিদ্যালয় ও বৃহত্তর অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় থাকে এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে।
সরকারের নতুন অভিবাসন কৌশলের সম্পূর্ণ বিবরণ শ্বেতপত্রে প্রকাশিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো, দেশটির ভঙ্গুর অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।