কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে এক তরুণের ফুটবল ছোড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকত থেকে ফুটবলটি পা দিয়ে উড়োজাহাজের দিকে ছুড়ে মারেন এক তরুণ। যা আজ শনিবার মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
১৪ সেকেন্ডের ওই ভাইরাল ভিডিও দেখে মনে হচ্ছিল, বলটি উড়োজাহাজের কাছাকাছি গিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নেটিজেনদের কেউ কেউ এভাবে উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে ফুটবল ছোড়ার ঘটনা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি। আনজাবিন রহমান সৌমিক নামের একজন লিখেছেন, আমি এ ভিডিও দেখে ভয়ে শঙ্কিত। এভাবে উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে ফুটবল ছোড়া মোটেও ঠিক হয়নি। আমাদের সবার সতর্ক হওয়া উচিৎ। আর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত কোনো ফুটবল খেলার মাঠ নয়।
সাকিব হাসান পাপ্পু নামের আরেকজন লেখেন, ‘কাজটা ভালো হলো না। ফুটবলটির কারণে উড়োজাহাজটি যে কোনো ঝুঁকিতে পড়তে পারত। আমাদের এসব বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হওয়া দরকার।’
কামরুল হাসান নামের আরেকজন লেখেন, উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে ফুটবল ছুড়ে মারাসহ কোনো কিছু নিক্ষেপ করার বিষয়ে মানুষের সতর্ক থাকা উচিত। তাছাড়া সমুদ্রসৈকতে যারা বেড়াতে যান, তারাও এরকম ফুটবল খেলার কারণে সমস্যার সম্মুখীন হন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
আবার নেটিজেনদের কেউ কেউ বলছেন, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর সমুদ্রের একদম কাছাকাছি। সমুদ্রসৈকত থেকে খুব নিচু দিয়ে বিমানকে উড়তে দেখা যায়। তবে পা দিয়ে ফুটবল সেই উড়োজাহাজ পর্যন্ত তোলা সম্ভব কিনা তা জানা নেই। আবার কামরুল হাসান নামের আরেকজন লেখেন, বল যতটুকু উচ্চতায় উঠেছে, বিমান তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি উচ্চতা দিয়ে যায়। পাবলিকের কমেন্ট দেখে মনে হয়, এরা জীবনে কক্সবাজার আসেনি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা গণমাধ্যমকে বলেন, বিমানবন্দর দিয়ে উড্ডয়নের সময় উড়োজাহাজ সাধারণত সমুদ্রসৈকতের ১ হাজার ৪০০ মিটার ওপর দিয়ে যায়। আবার অবতরণের সময় এক হাজার মিটার পর্যন্ত উঁচুতে থাকে। সে ক্ষেত্রে বালুচর থেকে ছুড়ে মারা ফুটবল বিমান পর্যন্ত আসার সুযোগ নেই।
‘তারপরও বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে সমুদ্রসৈকত এলাকায় ড্রোন ওড়ানো, আকাশে আতশবাজি নিক্ষেপসহ নানা কার্যক্রম নিষিদ্ধ। উড়ন্ত বিমান লক্ষ্য করে ফুটবল ছুড়ে মারাসহ কোনো কিছু নিক্ষেপ করার বিষয়ে মানুষকে সতর্ক থাকা উচিত’ বলেও তিনি জানান।