মিয়ানমার সীমান্তে করিডোর ইস্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জনগণকে জানানো হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করা হয়নি। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কি না, সেই বিতর্ক তুলতে চাই না। তবে করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত জনগণ ও নির্বাচিত সরকারের কাছে থেকে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) ঢাকার নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গত দেড় দশকে পরাধীনতার শেকলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। সেই ফ্যাসিবাদের পতন হলেও জনগণের রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক অধিকার পরিপূর্ণ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ জন্য মানুষ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি পৌঁছে দিতে পারছে না।

আরও পড়ুন:  শ্রমিকের ন্যায্য স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

তারেক রহমান বলেন, বিশেষ পরিস্থিতির সরকার অবৈধ না, কিন্তু জনগণের নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নয়। কেউ যখন একক ব্যক্তিকে অপরিহার্য মনে করে তখনই স্বেচ্ছাচারিতা তৈরি হয়। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মনে যাতে ক্ষমতা ধরে রাখার ইচ্ছা না আসে, সে জন্যই নির্বাচন প্রয়োজন। সংস্কারে আপত্তি নেই, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রকাশ করুন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিদেশি স্বার্থ রক্ষা নয়, সবার আগে জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই বাংলাদেশকে কেউ তাবেদারি রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না। সবার আগে বাংলাদেশ এটিই হতে হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

এর আগে ‘মে দিবস দিচ্ছে ডাক, বৈষম্য নিপাত যাক’- এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে নয়া পল্টনে শুরু হয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শ্রমিক সমাবেশ। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের কার্যক্রম। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের লম্বা সড়ক সেই ফকিরাপুল থেকে শুরু করে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত হাজারো শ্রমিকের উপস্থিতিতে সমাবেশটি রূপ নেয় জনসমুদ্রে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *