সাক্ষাৎকারটি গত ২২ এপ্রিল নেওয়া হয়েছিল। তবুও ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন যে একটি চুক্তি হতে পারে।
এই নতুন হুমকি এমন সময়ে এলো, যখন ওয়াশিংটন ও তেহরান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং শনিবার ওমানে তৃতীয় দফার বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে। শেষবার রোমে হওয়া বৈঠকের শেষে উভয় পক্ষ আশাবাদ প্রকাশ করেছিল, যদিও কোনো বিস্তারিত তথ্য তারা জানায়নি।
টাইম ম্যাগাজিন ট্রাম্পকে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছিল, তিনি কি ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে একতরফা হামলা চালানো থেকে বিরত রেখেছিলেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তা ঠিক নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের থামাইনি। তবে আমি তাদের জন্য পরিবেশটা আরামদায়কও করিনি।
টাইম ম্যাগাজিন ট্রাম্পকে প্রশ্ন করে জানতে চায়, তিনি কি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বা প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছুক? উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘নিশ্চয়ই।’
দুই দেশের মধ্যে শেষ সরাসরি মুখোমুখি আলোচনা হয়েছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে, যার ফলে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পশ্চিমা শক্তিগুলো অভিযোগ করে বলছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জনের উদ্দেশ্যে উচ্চ মাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে। তাদের দাবি অনুযায়ী এটা একটি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য অপ্রয়োজনীয়।
অন্যদিকে তেহরান বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে ২০১৫ সালের চুক্তিতে ইরান তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কার্যক্রম সীমিত করেছিল। তবে ২০১৮ সালে ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরান তাদের সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করে এবং তা ত্বরান্বিত করে।
সূত্র : এএফপি