পবিত্র হজ পালনে চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৭ হাজার ১০০ জন সৌদি আরবের মক্কায় যাবেন। তবে তাদের সবাই নির্দিষ্ট স্থানে লাগেজ পৌঁছানোর সুবিধা পাবেন না বলে জানিয়েছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার। বাংলাদেশের হজযাত্রীদের পরিষেবা নিয়ে সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার বলেন, এ বছর হজযাত্রীদের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবেন ৭৭ হাজার ১০০ জন। তারা ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ’ সুবিধার আওতায় থাকবেন। এর আওতায় হজযাত্রীরা দুটি বড় সুবিধা পান। প্রথমত, সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশের বিমানবন্দরেই সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয়ত, লাগেজ ম্যানেজমেন্ট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে হ্যান্ডেল করা হয় এবং যাত্রীরা যে হোটেলে ওঠেন সেখানে পৌঁছে দেওয়া হয়। অন্যান্য বিমানবন্দর দিয়ে যাওয়া বাকি ১০ হাজার হজযাত্রী এ ইনিশিয়েটিভের আওতায় না থাকায় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
গত বছর কিছু যাত্রীর লাগেজ নিয়ে সমস্যার কারণে সৌদি কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি।
ভিসা জটিলতা সম্পর্কে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, ভিসার কোনো সমস্যা ছিল না। সমস্যাটি ছিল মূলত বাড়ি ভাড়া নিয়ে। বাড়ি ভাড়া না হলে কেউ ভিসার আবেদন করতে পারেন না। তবে আজ (সোমবার) সকাল পর্যন্ত শতভাগ হজযাত্রীর বাড়ি ভাড়ার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।