পাল্টা প্রতিশোধ, মার্কিন পণ্যে চীনের ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের প্রতিশোধ হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫% শুল্ক আরোপ করেছে। আগে যা ছিল ৮৪ শতাংশ।

চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি উচ্চতর শুল্ক আরোপ অব্যাহত রাখে তবে এর আর অর্থনৈতিক অর্থ থাকবে না। বিশ্ব অর্থনীতির ইতিহাসে এটি বড় রসিকতা হয়ে উঠবে।

বিবৃতিতে চীন বলেছেন, বর্তমান স্তরে শুল্ক হার থাকায় চীনে আমদানি করা মার্কিন পণ্যের আর কোনও বাজার নেই। যদি মার্কিন সরকার চীনের উপর শুল্ক বৃদ্ধি অব্যাহত রাখে, তাহলে বেইজিং তা উপেক্ষা করবে।

ট্রাম্প প্রশাসন বৃহস্পতিবার সিএনবিসিকে নিশ্চিত করেছে, চীনা আমদানির উপর মার্কিন শুল্ক হার এখন কার্যকরভাবে ১৪৫ শতাংশ। ট্রাম্পের সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে বেইজিংয়ের উপর পারস্পরিক শুল্ক ১২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে আরোপিত ২০ শতাংশ ফেন্টানাইল-সম্পর্কিত শুল্কের উপরে রয়েছে।

আরও পড়ুন:  সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফুল আলম রাজু

পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সভাপতি এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিওয়েই ঝাং বলেন, দ্বিপাক্ষিক শুল্ক হারের ক্ষেত্রে এই ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির অবসান হল। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে যে শুল্ক আরও বাড়ানোর কোনও অর্থ নেই।

পরবর্তী পদক্ষেপ হবে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষতি মূল্যায়ন করা। ঝাং বলেন, দুই সরকার আলোচনা শুরু করবে এবং বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে বড় ধরনের ব্যাঘাত এড়াবে এমন কোনও লক্ষণ নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন মাসের জন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলেও চীনের ওপর উচ্চ শুল্কহার বজায় রেখেছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা প্রায় সব চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

আরও পড়ুন:  শীঘ্রই মূল্যস্ফীতি কমবে : প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের হিসাবে, ২০২৪ সালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৫৮২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছিল। চলমান শুল্কযুদ্ধের কারণে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাণিজ্য ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলে বুধবার জানিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *