সন্দ্বীপের সীমানায় যুক্ত হচ্ছে বিলীন হওয়া ৫২১ বর্গকিলোমিটার এলাকা। এর মধ্যে রয়েছে বহুল আলোচিত ভাসানচরসহ শালিকচর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা, কাউয়ারচরসহ বিলীন ৫২১ বর্গকিলোমিটার এলাকা ফের সন্দ্বীপের মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে।
১৯৫৫ সালের জরিপে সন্দ্বীপের মোট আয়তন ছিল ৬০৩ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু বঙ্গোপসাগর গ্রাস করায় এর মূল ভূখণ্ডের আয়তন দাঁড়ায় ৮২ বর্গকিলোমিটার। নতুন করে চর জাগলেও কাগজপত্রে বিলীন হয়ে যাওয়া সন্দ্বীপের সঙ্গে তা যোগ হয়নি।
ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খোদ দ্বীপের একটি সিন্ডিকেট নতুন চরগুলোর বেশিরভাগ অংশ নোয়াখালীর সঙ্গে যুক্ত করে দেয়।
পাঁচই অগাস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সন্দ্বীপ-নোয়াখালীর এই সীমানা বিরোধ ফের সামনে আসে। সরকারের শীর্ষ মহল থেকে দ্রুত সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বঙ্গোপোসাগরের বুক চিরে তৈরি হওয়া বিশালায়তনের নতুন এই সন্দ্বীপের বর্তমান মোট আয়তন ৭২১ বর্গকিলোমিটার বেশি হতে পারে।
তাদের মতে, সাগরে পলিমাটি জমে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দ্বীপটি। ইতিমধ্যে জাহাইজ্যারচর, ভাসানচর, উরিরচর নানাভাবে সন্দ্বীপের সঙ্গে মিশে গেছে। পলি জমে চরগুলোর আয়তনও বাড়ছে।
অদূর ভবিষ্যতে এসব চর সন্দ্বীপের সঙ্গে মিশে সৃষ্টি হবে বিশাল এক দ্বীপাঞ্চল।
বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) এক গবেষণাতেও এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এই খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ব্যবসায় পরিবেশ তথা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচটি বড় বাধা হচ্ছে বিদ্যুতের সমস্যা, অর্থায়নের সীমিত সুযোগ, দুর্নীতি, অনানুষ্ঠানিক খাতের আধিক্য ও উচ্চ করহার।
ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) এক প্রতিবেদনে এ উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় বিনিয়োগ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
ওই অনুষ্ঠানে বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল কাদীর বলেন, প্রতিবেদনে সঠিক তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই এ প্রতিবেদন দেখে থাকবেন। সুতরাং এই চ্যালেঞ্জগুলো যেন ভবিষ্যতে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের ২০২৪ সালে প্রকাশিত বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) পৌনে শতাংশ কমলেও বাংলাদেশের কমেছে পৌনে ১৪ শতাংশ।
আইএফসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জিডিপির অনুপাতে বিদেশি বিনিয়োগ মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ (২০২৩)। বাংলাদেশের অর্থনীতির যে গতি প্রত্যাশা করে তার বিপরীতে বিনিয়োগের হার অপর্যাপ্ত। যে বিনিয়োগ আসছে, তা মূলত দেশে ব্যবসারত বিদেশি কোম্পানিগুলোই করছে। নতুন কোম্পানি কম আসছে।
দেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক সমস্যার কথাও বলা হয় এতে। এর মধ্যে রয়েছে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা, নীতির ঘন ঘন পরিবর্তন, সুশাসনের অভাব, আইনের জটিলতা, প্রাতিষ্ঠানিক অদক্ষতা, সমন্বয়ের অভাব ইত্যাদি।
আইএফসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের কৌশলগত চারটি খাতে প্রয়োজনীয় নীতিগত পদক্ষেপ নিলে প্রতিবছর এসব খাতে প্রায় ৩৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হবে। খাত চারটি হলো আবাসন, পেইন্ট অ্যান্ড ডাইস, তৈরি পোশাকশিল্প ও ডিজিটাল আর্থিক সেবা।
দেশের আবাসন খাতে ডিজিটাল ম্যাপিং, জমি নিবন্ধন ও জমির অতিরিক্ত দাম নিয়ে জটিলতা রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়
এই খবরে বলা হয়েছে, সারাদেশে ১১ হাজার ৮৮১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি এখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়নি। এমন বিদ্যালয় সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে, সংখ্যায় যা চার হাজার ৭৭০টি।
এসব বিদ্যালয়ের জমির কোনোটি বিএস রেকর্ডে ব্যক্তির নামে, কোনোটি খাস, আবার কোনোটি অন্য মন্ত্রণালয়ের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে জানা যায়, সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অথবা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নামে বিএস রেকর্ডভুক্ত করার বিধান রয়েছে।
বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ডভুক্ত করা না হলে এসব জমি বেহাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, সব বিদ্যালয়ের জমি রেকর্ডভুক্ত করতে নেয়া উদ্যোগ অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ (২০২২-২৩) বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি।
ভাসানচরকে হাতিয়ার অধিনে যুক্ত করে গেজেট ঘোষণা করলে সন্দ্বীপের মানুষ ২০১৭ সালে সারাদেশে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে।