টেকনাফে জন্ম নেওয়া ৩৫০টি কাছিমছানা সাগরে অবমুক্ত

কক্সবাজারের টেকনাফে হ্যাচারিতে জন্ম নেওয়া আরো ৩৫০টি কাছিমছানা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া এলাকার সাগরে কাছিমছানাগুলো অবমুক্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম)-এর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার আবদুল কাইয়ুম।

নেকমের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকা থেকে এবার কাছিমের ৮ হাজার ৫০০টি ডিম সংগ্রহ করা হয়।

এসব ডিম থেকে জন্ম নেওয়া দেড় হাজার কাছিমছানা এরই মাঝে কয়েক ধাপে সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।আবদুল কাইয়ুম আরো বলেন, ‘সোমবার সাগরে অবমুক্ত করা কাছিমছানাগুলো মাঝেরপাড়া এলাকার একটি হ্যাচারিতে ফোটানো হয়। এরপর সাগরের লোনাপানিতে ছাড়া হয়েছে। টেকনাফসহ পুরো জেলার ১২টি পয়েন্ট থেকে এ বছর ২৫ হাজার ৭০০টি কাছিমের ডিম সংগ্রহ হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:  নিউইয়র্কে সন্দ্বীপ সোসাইটি’র নির্বাচনে ফিরোজ-আলমগীর পূর্ণ প্যানেল জয়ী
সংগ্রহ করা ডিমের ৮৫ শতাংশ থেকে বাচ্চা ফুটেছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, সমুদ্রের ময়লা-আবর্জনা ও আগাছা পরিষ্কার এবং মাছের পোনা খাদক জেলিফিশ খেয়ে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনন্য ভূমিকা রাখে কাছিম। বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দিকনির্দেশনায় নেকম ২০ বছর ধরে কাছিম সংরক্ষণে কাজ করে আসছে।

সম্প্রতি নেকমের একটি জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩৪টি স্পটে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসছে, যা এক দশক আগেও ছিল ৫২টি।

এ থেকে ধারণা করা হয়, সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *