আশিক মাহমুদ বলেন, বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সরেজমিনে তুলে ধরার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো এই আয়োজনের প্রধানতম উদ্দেশ্য।
আগামী ৯ এপ্রিল সকালে ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
চৌধুরী আশিক বলেন, আয়োজনে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। ইতোমধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা স্টার্ট আপ থেকে শুরু করে বড় বিনিয়োগ সব কিছু নিয়ে কথা বলেন। পুরো আয়োজনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তৈরি পোশাক, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য এবং হালকা প্রকৌশল খাত প্রাধান্য পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশ্বের খ্যাতনামা কয়েকটি ব্র্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা আসবেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে বৈঠক হবে আয়োজক দেশের।
আশিক মাহমুদ আরো বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ১ বিলিয়ন ডলারের কম। এটি থাকা না থাকার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। অর্থাৎ বিনিয়োগ আরো ১০ গুণ হওয়ার কথা। সে কারণে বিনিয়োগ বাড়াতে এই আয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করে। ফলে দ্রুতই বিনিয়োগ বাড়ানো কঠিন। তবে আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এ ছাড়া এবারের সম্মেলনে বেশ কিছু এমওইউ স্বাক্ষর হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আগামী ২৬ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনে যাবেন তিনি। সেখানে দেশটির বড় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সব মিলিয়ে ২ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক হবে। আশা করা হচ্ছে, এতে বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।’
তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগব্যবস্থা নিশ্চিত করতে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। আর ৯০ েদিন পর এটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এবং উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।