সন্তানের বন্ধু হবেন যেভাবে

আধুনিক এই যুগে সবাই মোটামুটি ব্যস্ত থাকেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো সময়ও পান না। তেমনি মা-বাবারাও চাকরি বা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন সারা দিন। তাই ছেলেমেয়ের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো তাদের সময় হয় না।

আবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেই বাচ্চাকে পড়াতে বসাতে হয়। কোনোমতে রাতের খাবার সেরে সোজা ঘুম। এই চিত্রটা মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।

কিন্তু ব্যস্ত জীবনের মাঝেও সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো দরকার।

আর সন্তান যদি বয়ঃসন্ধিকালে থাকে, তাহলে আরো বেশি নজর দিতে হবে তার ওপর।সময় কাটান

সন্তানের বয়স ৭ হোক বা ১৭, তার সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি। দিনের মধ্যে যেকোনো এক ঘণ্টা সন্তানের সঙ্গে কাটান। কোয়ালিটি টাইম কাটানো বাবা-মা ও সন্তানের সম্পর্কের জন্য জরুরি।

আরও পড়ুন:  সততার বীজ
পাশাপাশি মাঝেমধ্যে একসঙ্গে ডিনারে যান, উইকেন্ডে বেড়াতে যান। লম্বা ছুটি পেলে দূরে কোথাও ভ্রমণের প্ল্যান করতে পারেন।সন্তানের কথা শুনুন

সন্তান ভুল করছে না তো, এই ভয় সবসময় মা-বাবার মধ্যে কাজ করে। কিন্তু সেই ভয়ে সন্তানকে আগলে রাখবেন না। সে ভুল করলে বকাবকি করবেন না।

প্রথমে, সে কী বলতে চাইছে, তা শুনুন। সন্তানের মনের ভিতর কী চলছে, সেটা জানা ভীষণ দরকার। এর পর সন্তানকে বোঝান, যাতে আগামী দিনে ভালো-মন্দের বিচারটা সে নিজেই করতে পারে। শাসন মানেই বকাবকি নয়।সন্তানের মতামতকে গুরুত্ব দিন

সন্তানের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। কোনো বিষয়ে সন্তানের যদি মতামত তৈরি হয়, সেটাকেও প্রাধান্য দিন। মা-বাবার পছন্দ-অপছন্দ জোর করে সন্তানের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। এতে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব তৈরি হতে পারে।

আরও পড়ুন:  বাসায় ফিরলেন গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমিন

তা ছাড়া পরিবারের সদস্য সে, তারও কিছু মতামত থাকতে পারে, সেটা শোনা দরকার। তা হলে সন্তানও বুঝবে যে পরিবারে তারও গুরুত্ব রয়েছে।

সূত্র : এই সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *