রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ইসির সঙ্গে শেয়ার করবে জাতিসংঘ

রোহিঙ্গাদের তথ্য সংবলিত ডাটাবেজ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে শেয়ার করতে রাজি হয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)। ওই ডাটাবেজ ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে কাজে লাগবে ইসি। ওই ডাটাবেজে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বিভিন্ন ধরনের তথ্য রয়েছে। 
বুধবার বিকালে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইউএনএইচসিআর এ ডাটাবেজ শেয়ারে সম্মত হয়েছে। 
বৈঠক শেষে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর এ তথ্য জানান। ওই বৈঠকে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধিদল ও ইসির কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে এএসএম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, এই ডাটা আমরা কীভাবে পেতে পারি, তা নিয়েই আলোচনা করেছি। এই ডাটাবেজ আমাদের কাছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, না অন্য কোথাও থাকবে, এটা নিয়ে সরকারের একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার ছিল। এটা চূড়ান্ত হয়েছে যে, ওই ডাটাবেজ নির্বাচন কমিশনে থাকবে।
তিনি বলেন, ডাটাবেজ কীভাবে কোথায় কখন ব্যবহার করা হবে তা পরবর্তীতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। এজন্য একটা কারিগরি টিম গঠন করা হয়েছে। ওই টিমের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ডাটা এমনভাবে দেবে যেন রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে পারি। কাজেই উনাদের পুরো ডাটা যদি না পাই, সেটা তো পারব না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
রোহিঙ্গারা পরিচয় গোপন করে ভোটার হচ্ছে জানিয়ে ইসির এ কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। রোহিঙ্গারা আমাদের সিস্টেমে প্রবেশ করার (ভোটার হওয়ার) চেষ্টা করছে। যত দ্রুত রোহিঙ্গাদের এই ডাটা পাব, তত সুবিধা হবে। সার্ভার পেলে আমাদের বহুমাত্রিক সুবিধা পাব। রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ঠেকাতে এখন যে কষ্ট করতে হয়, তা আর করতে হবে না। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজের সঙ্গে নতুন ভোটার হতে যাওয়া ব্যক্তিদের কারও তথ্য মিলে গেলে আমরা ধরে নেব সেই রোহিঙ্গা। তিনি আরও বলেন, বৈঠকে পাসপোর্টের সঠিকতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, এনআইডির তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট করা হয়। এনআইডি পরিশুদ্ধ থাকলে, সেখানে রোহিঙ্গা না থাকলে সেটা পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের জন্যও সুবিধা হবে।
ডাটাবেজ পাওয়ার সুবিধা উল্লে­খ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, ইতোমধ্যে রোহিঙ্গারা ভোটার হয়ে থাকলে এই ডাটাবেজের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করা যাবে। শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই এনআইডিগুলো লক করে দেওয়া হবে।
অনেক বাংলাদেশি ত্রাণের আশায় রোহিঙ্গা পরিচয় ধারণ করেছে, তাদের কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *