চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌপথে ফেরি সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়নি। তবে এর আগেই বুধবার পরীক্ষামূলক যাত্রা সম্পন্ন করেছে এই নৌপথে চলাচলের জন্য নিয়ে আসা ফেরি ‘কপোতাক্ষ’। আজ দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ফেরিঘাটে নোঙর করে ফেরিটি। এর আগে ফেরিটি দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া প্রান্ত থেকে যাত্রা করেছিল।
ফেরি আসার খবরে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া প্রান্তে শ খানেক মানুষকে প্রবল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ২৪ মার্চ থেকে এই রুটে নিয়মিত ফেরি চলাচল শুরুর লক্ষ্য স্থির করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, ৫ মার্চ থেকে ফেরি চলাচল শুরু করার কথা ছিল চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌপথে। তবে অবকাঠামোগত কাজে কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় উদ্বোধন পিছিয়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিএ এর উপপরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, আজ তাঁরা একটি গাড়ি নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি ‘কপোতাক্ষে’ চড়ে সন্দ্বীপে গিয়েছেন। সমুদ্র পাড়ি দিতে ফেরিটি ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময় নিয়েছিল। ২৪ মার্চ পূর্বনির্ধারিত সময়েই এই রুটে ফেরি চলাচলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। আপাতত একমাত্র ফেরি ‘কপোতাক্ষ’ চলাচল করলেও এই রুটে চলাচলের জন্য আরও একটি ফেরি নির্মাণাধীন বলে জানান তিনি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌ-রুটে আগামী ২৪ মার্চ চালু হচ্ছে ফেরি সার্ভিস। এতে করে সন্দ্বীপের মানুষের যাতায়াতের দুঃখ দুর্দশা একদিকে যেমন ঘুচবে, তেমনি খুলবে সম্ভাবনার নতুন দ্বার।
ফেরি সার্ভিস চালু হলে সন্দ্বীপের কৃষি, মৎস্যসহ অর্থনীতি, বাণিজ্য ও স্বাস্থ্যখাতে আসবে নতুন গতি। এছাড়া পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে সাজানো যাবে দ্বীপের সমুদ্র উপকূলকে। যদিও পুরো সুবিধা পেতে রয়েছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও।
চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে প্রায় ৫ লাখ মানুষ বসবাস করে। দৈনন্দিন কাজ, জীবন-জীবিকা, শিক্ষা, চিকিৎসার মতো জরুরি কাজে এ জনপদের বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে জেলা শহর চট্টগ্রামে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূল ও সন্দ্বীপের মাঝখানে রয়েছে উত্তাল নৌ-চ্যানেল, এই নৌপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৭ কি.মি.। এ পথ পাড়ি দিতে শিশু, নারী ও বয়োবৃদ্ধ যাত্রীরা নৌযাত্রায় প্রতিনিয়ত অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন।