যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন, প্রতিদিন চলবে ৩২ ট্রেন

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যমুনা নদীর ওপর নির্মিত রেল সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে সেতুর পূর্ব প্রান্তে ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশন এলাকায় পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সেতুর উদ্বোধন করা হয়।  

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক এম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্ব সেতুর উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি এবং জাপানের বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকার দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মহাপরিচালক ইতো তেরুয়ুকি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সেতু উদ্ধোধনের ফলে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বিশেষ করে উত্তর-দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ আরও সহজ হবে। এতে বাংলাদেশর সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

আরও পড়ুন:  সৌদি আরবের পথে প্রধানমন্ত্রী

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) গৌতম কুমার কুন্ডু বলেন, এই সেতুতে ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের এক নতুন দুয়ার উন্মোচিত হলো। এখন থেকে এই সেতু দিয়ে অনেক কম সময়ে দ্রুত গতিতে ট্রেন পারাপার করতে পারবে। প্রতিদিন ৩০টি আন্তনগর ও ২টি কমিউটার ট্রেন যথারীতি এই সেতু দিয়ে চলাচল করবে।

১২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী থেকে সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেন প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে যমুনা রেল সেতু পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর সময় একটি ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সেতুটি অতিক্রম করেছিল। এতে সেতুটি পারি হতে সময় লেগেছিলো প্রায় সাড়ে ৩ মিনিট৷

সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এবং বাকি অর্থ সরকার দিয়েছে। জাপানের ওটিজি এবং আইএইচআই যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছে।

আরও পড়ুন:  জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *