মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন’: প্রেস উইং

বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ যুক্তরাষ্ট্রের ‘উদ্বেগের একটি বড় জায়গাজুড়ে’ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্বেগের কথা এনডিটিভিকে জানান তিনি। এদিকে, তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার।

সোমবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দেওয়া হয়।

সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ নিয়ে ডিএনআই তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যের আমরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশা করছি। গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বাংলাদেশ বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, যেখানে ইসলাম চর্চা হয় শান্তিপূর্ণ ও সহনশীলভাবে। একই সঙ্গে, দেশটি উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:  এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী

বিবৃতিতে বলা হয়, গ্যাবার্ডের মন্তব্য কোন প্রমাণ বা নির্দিষ্ট অভিযোগের উপর ভিত্তি করে নয়। বরং এটি একটি জাতির প্রতি অবিচারমূলক সাধারণীকরণ। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও উগ্রবাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে, তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে আইন প্রয়োগ, সামাজিক সংস্কার এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে এসব সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশকে একটি ‘ইসলামি খিলাফতের’ ধারণার সাথে ভিত্তিহীনভাবে সংযুক্ত করা বিশ্বের অগণিত বাংলাদেশী এবং তাদের বন্ধু ও অংশীদারদের কঠোর পরিশ্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যারা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দেশকে যে কোন ‘ইসলামি খিলাফতের’ সাথে সংযুক্ত করতে যে কোনো প্রচেষ্টার বাংলাদেশ তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। একই সঙ্গে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের এমন সংবেদনশীল বিষয়ে মন্তব্য করার আগে যথাযথ তথ্য যাচাই করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:  বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন চায় ইসলামী আন্দোলন

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বরাবরের মতো গঠনমূলক সংলাপে বিশ্বাসী, যা পারস্পরিক সম্মান, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *