দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তিগত গবেষণা প্রসারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে-রাবিপ্রবি উপাচার্য

রাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে যাবিপ্রবি উপাচার্যের পরিদর্শন উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা খাতের উন্নতি ও প্রযুক্তিগত গবেষণা প্রসারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমান।

আজ ৬ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাবিপ্রবি উপাচার্যের সাথে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারের সভা কক্ষে সাক্ষাৎ করেন। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডীন, প্রকল্প পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ ও বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর-প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

যবিপ্রবি’র উপাচার্যের আগমন ও পরিদর্শন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় ঘটনা বলে উল্লেখ করে রাবিপ্রবি উপাচার্য আরো বলেন” এই পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধি করা, যা উচ্চশিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ইতোমধ্যে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে”, যা শীঘ্রই ফলপ্রসূ রূপ গ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাঁরা। এর আওতায় সাংস্কৃতিক-শিক্ষা ও ল্যাব-প্রযুক্তিগত বিষয়াদি গুরুত্ব পাবে।

আরও পড়ুন:  রাশিয়ায় বিশ্ব যুব উৎসবে আন্তর্জাতিক ক্লাব ‘ইকোসিস্টেম’ গঠনের ঘোষণা

 

যবিপ্রবি’র উপাচার্যকে রাবিপ্রবি’র উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখান। রাবিপ্রবি’র মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে তিনি মুগ্ধ হন এবং রাবিপ্রবি’র উপাচার্য কর্তৃক সম্প্রতি গৃহীত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন ও প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সুবিধা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে ভিসি মহোদয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি তাঁদের গবেষণা কার্যক্রম এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাবলি সম্পর্কে অবগত হন। একই সাথে তিনি উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

যবিপ্রবি’র উপাচার্য মহোদয়ের এই পরিদর্শন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণায় উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতার এক অনন্য ধারা সূচনা করল বলে রাবিপ্রবি উপাচার্য মন্তব্য করেন। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন বাংলাদেশের উন্নতির জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *