রমজানে ওমরাহ পালন প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) যা বলেছেন

রমজানের একটি আর্থিক ইবাদত রয়েছে। এর মাধ্যমে মুমিন অফুরন্ত সওয়াব অর্জন করতে পারে। তা হলো ওমরাহ পালন। কোনো সামর্থ্যবান মুসলিম এই আমল করতে পারলে তা তার জন্য কল্যাণকর হবে।

নবীজি (সা.)-এর ভাষ্য মতে, রমজানের একটি ওমরাহ হজের সমতুল্য।ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) এক আনসারি নারীকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে হজ করতে তোমার বাধা কিসের? ইবনে আব্বাস (রা.) ওই নারীর নাম বলেছিলেন, কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি। ওই নারী বললেন, আমাদের একটি পানি বহনকারী উট ছিল। কিন্তু তাতে অমুকের পিতা ও তার পুত্র (অর্থাৎ নারীর স্বামী ও ছেলে) আরোহণ করে চলে গেছেন।

আর আমাদের জন্য রেখে গেছেন পানি বহনকারী আরেকটি উট, যার দিয়ে আমরা পানি বহন করে থাকি। নবী (সা.) বলেন, আচ্ছা, রমজান এলে তখন ওমরাহ করে নিও। কেননা রমজানের একটি ওমরাহ একটি হজের সমতুল্য। অথবা এরূপ কোনো কথা তিনি বলেছিলেন।
’ (বুখারি, হাদিস : ১৭৮২)অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে হজ করার সমতুল্য। কবুল হজ এমন একটি ইবাদত, যার প্রতিদান একমাত্র জান্নাত।’

আরও পড়ুন:  অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডে মারা গেছেন

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরাহ পরপর একত্রে আদায় করো। কারণ হজ ও ওমরাহ দারিদ্র্য ও গুনাহ দূর করে। যেভাবে হাপরের আগুনে লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা দূর হয়।

একটি কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৮১০)মহান আল্লাহ সবাইকে পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ করার তাওফিক দিন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *