আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে তারা টেকনাফ মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিতে পৌঁছান। এর আগে, নাফ নদের শূন্যরেখায় জেলেদের গ্রহণ করে বিজিবি।
রোহিঙ্গাদের সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া প্রসঙ্গে ইউএনও বলেন, ‘হয়ত অনেক সময় তথ্য গোপন করে অথবা কোনো অসদুপায় অবলম্বন করে তারা বাংলাদেশি জেলেদের সঙ্গে সাগরে যেতেন।
পরবর্তীতে এই জেলেদের নিজেদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ফেরত জেলেরা হলেন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের মৃত তৈয়বের ছেলে মো. হাসান (৩০), মো. সলিমুল্লার ছেলে মো. জাবেদ (১৮), কবির আহমেদের ছেলে মো. আ. রহিম (১৭), মৃত আলমের ছেলে মো. হাসান (১৯), খুল্যা মিয়ার ছেলে মো. কালা মিয়া (৩৭), মো. সৈয়দ আলমের ছেলে মো. নুরুল আলম (৩৯), শামসুল আলমের ছেলে আব্দুল রহমান (১৯), সুলতান আহমেদের ছেলে মো. আ. কালাম আহমেদ (২৯), ফয়জল করিমের ছেলে মো. লাইল্যা (১১), আব্দুল আমিনের ছেলে মো. কবির আহমেদ (৪৩), কবির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ (২৩), সোনা মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৪), রশিদ আহমেদের ছেলে মো. লুতফর রহমান (২৩), আব্দুল মান্নানের ছেলে রহিম উল্লাহ (২১), নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. ফয়সাল।
এ ছাড়াও রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছেন উখিয়ার ৮ নম্বর (ইস্ট) বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের নুর সালামের ছেলে ফারুক মাঝি, ২৫ নম্বর আলীখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের ইকরামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ, ৭ নম্বর কুতুপালং এফডিএমএন ক্যাম্পের নাজির হোসেনের ছেলে মো. ইব্রাহিম, ১৩ নম্বর বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের দলিজানের ছেলে আব্দুল মোনাফ, হোছন আলীর ছেলে তৈয়ব আলী, মো. সালামের ছেলে সৈয়দ উল্লাহ মাঝি, নূর মোহাম্মদের ছেলে সৈয়দ আলম, নূর মোহাম্মদের ছেলে ইমাম হোসেন, থান্ডা মিয়ার ছেলে মো. হোছন (২৫), হোছন আহম্মেদের ছেলে নেজামুদ্দিন (৩০), নুর মোহামদের ছেলে আমান উল্লাহ (৩২), সোনা মিয়ার ছেলে নুর হোছন (৩৫), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে কবির আহম্মদ (৪০) ও মৃত মকবুল আহম্মদের ছেলে হামিদ হোসেন (৪৮)।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি নাফ নদের টেকনাফ জেটি ঘাট এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে চারটি ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। তারও আগে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি নাফ নদের মোহনাসংলগ্ন এলাকা থেকে দুটি ট্রলারসহ ৪ জেলেকে এবং গত বছরের ১৬ নভেম্বর নাফ নদের উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্ত থেকে ৬ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় তারা।