নেদারল্যান্ডসে ২০ হাজারের বেশি স্বল্প দক্ষ ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু

নেদারল্যান্ডস কর্তৃপক্ষ ২০২৪ সালে স্বল্প দক্ষ ক্যাটাগরিতে দেশটিতে যাওয়া আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসীদের মোট ২০ হাজার ১৭২টি ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের অনুমতি দিয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। ডাচ জাতীয় কর্মসংস্থান সংস্থা (ইউডব্লিউভি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটির মতে, এই সংখ্যার মধ্যে ৯ হাজার ২৮১টি ওয়ার্ক পারমিট আশ্রয়প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসে যাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের পক্ষে কাজের অনুমতি পাওয়ার সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত।

শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার আগে আশ্রয়প্রার্থীরা সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট পান না। নিয়মিত ও অনিয়মিত অভিবাসন মিলিয়ে নেদারল্যান্ডসে কঠোর আইন থাকায় দেশটির বিভিন্ন খাতে তীব্র শ্রমিক সংকটও রয়েছে। এসব ওয়ার্ক পারমিট এমন লোকদের দেওয়া হয়, যাদের ইতিমধ্যে নেদারল্যান্ডসে থাকার অনুমতি রয়েছে, যেমন বিদেশি শিক্ষার্থী কিংবা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের। এ ছাড়া তিন মাসেরও কম সময়ের কাজের ভিসা নিয়ে নেদারল্যান্ডসে যাওয়া অভিবাসীদেরও উল্লেখিত ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করা হয়।
জাতীয় কর্মসংস্থান সংস্থার মতে, কাজের অনুমতি প্রদানের হার ২০২২ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সাল থেকে এই হারে টানা বৃদ্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:  ডিএমপির ৮ ডিসিকে বদলি

২০২৪ সালে জারি করা ২০ হাজার ১৭২টি পারমিটের মধ্যে প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ৯ হাজার ২৮১টি আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য জারি করা হয়েছিল। এটি ২০২৩ সালের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি।

এ ছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকা এক হাজার ৮৪০ জন ব্যক্তিকেও কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।ডাচ সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই সরকারি কর্মসংস্থান সংস্থায়, ক্যাটারিং ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেক্টরে কাজ করেন। যেগুলো মূলত কম বেতনের চাকরি।

ইউডব্লিউভির পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রতি পাঁচটি ওয়ার্ক পারমিটের মধ্যে একটি পরিচ্ছন্নতা খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। ৮ শতাংশ ক্যাটারিং খাত ও লজিস্টিক কাজের সঙ্গে যুক্ত।

আগে নেদারল্যান্ডসে আশ্রয়প্রার্থীরা বছরে মাত্র ২৪ সপ্তাহ কাজ করার অধিকার পেতেন। এই বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে ওয়ার্ক পারমিটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের শেষের দিকে এই ব্যবস্থাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  বাইডেনের প্রতিশ্রুতির আওতায় বৈধতা পাবেন ৫ লাখ অভিবাসী

ইউডব্লিউভির পরিচালক জুডিথ ডুভিন টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘এই কাজটি আশ্রয়প্রার্থীদের ডাচ সমাজে একীভূত করতে সাহায্য করবে। এটির ফলে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ার আগের তাদের কাজের অভিজ্ঞতা থাকবে। যদিও এগুলো কম বেতনের চাকরি। উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য এটি বেশ কঠিন হতে পারে। এ ছাড়া কিছু পেশা, যেমন টেকনিশিয়ান ও নার্সদের যোগ্যতা যাচাই করতে কিছুটা সময় লাগে। কখনো কখনো তাদের অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *