যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মানবসম্পদ সংস্থা (ওপিএম) পুরো বিভাগ বন্ধ করে দিতে বা ছোট করে ফেলতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এর সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলো জানিয়েছে, এটি ফেডারেল প্রশাসনে দ্বিতীয় দফায় ব্যাপক গণছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রয়টার্স জানায়, মানবসম্পদ সংস্থা লাখ লাখ বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য তত্ত্বাবধান করে। এরই মধ্যে সংস্থার ৪০ সদস্যের একটি শক্তিশালী ক্রয় দলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সংস্থার অভ্যন্তরে সংবেদনশীল কর্মচারী তথ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা একটি দলকেও উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট করা হয়েছে। অর্থাৎ, ওই দলের কর্মী কমিয়ে আটজনে নামিয়ে আনা হয়েছে। ২০ সদস্যের যোগাযোগ দল সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে। সাত সদস্যের বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তি দলও সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওপিএমে স্থায়ী সরকারি কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর এই প্রক্রিয়া বৃহত্তর সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য দ্বিতীয় ধাপে আরও ব্যাপক ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ওপিএমের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ২৩ লাখ সদস্যের বেসামরিক সরকারি কর্মী বাহিনীর বেশির ভাগই স্থায়ী কর্মচারী। এই কর্মীদের ছাঁটাই করাকে টেক বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্কের পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন যে পন্থায় মাস্কের তথাকথিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)’ গঠন ও পরিচালনা করছে, তা সংবিধান লঙ্ঘন করে থাকতে পারে বলে ওয়াশিংটনের একজন ফেডারেল বিচারক মন্তব্য করেছেন।
সিএনএন জানায়, সোমবার দেওয়া এক আদেশে এ সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারক কলিন কলার-কোটলে। কিন্তু তাঁর এমন সন্দেহ প্রকাশ করার বিষয়টি বাধ্যতামূলকভাবে মানা কোনো আদেশের অংশ নয়। তবে বিচারকের এ মন্তব্যে মাস্কের বিভাগ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তাঁর এ বিভাগ ‘ইউএস ডিওজিই সার্ভিস’ নামেও পরিচিত।