কানাডার ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ

সহজ ভিসা নীতির কারণে অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে জনপ্রিয় কানাডা। কিন্তু অতিরিক্ত অভিবাসীর কারণে বিভিন্ন খাতে চাপ তৈরি হওয়ায় একের পর এক নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। এবার ভিসা নীতিতেও পরিবর্তন এনেছে তারা। 

নতুন নীতিতে দেশটির সীমান্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে ভিসা বাতিল ও পরিবর্তন করার ক্ষমতা। নীতি অনুযায়ী সীমান্ত কর্মকর্তারা বাতিল করতে পারবেন শিক্ষার্থী ভিসা ও কাজের অনুমোদনও। শুধু তাই নয়, সীমান্ত থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারবেন বিদেশি কর্মী ও শিক্ষার্থীদের। এ নিয়মের কারণে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নতুন এই ভিসা নীতি প্রকাশ করা হয়। চলতি মাস থেকেই এই নীতি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:  ভোটার হতে সাত দেশ থেকে ৪২ হাজার প্রবাসীর আবেদন

নতুন ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, কানাডার সীমান্ত কর্মকর্তারা এখন ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ও অস্থায়ী বসবাসের নথি প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করতে পারবেন। এছাড়া কাজের অনুমতি ও শিক্ষার্থী ভিসাও বাতিল করতে পারবেন তারা। তবে কিছু বিশেষ শর্ত পূরণ করতে না পারলেই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানা গেছে।

এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, যদি একজন কর্মকর্তার মনে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কানাডা ছাড়বেন না, তবে তারা সেই ব্যক্তির ভিসা প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করতে পারেন। এই নিয়মের আওতায় রয়েছেন এরই মধ্যে কানাডায় বসবাস করছেন এমন অভিবাসীরাও।

এমনকি কর্মকর্তারা প্রয়োজন মনে করলে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের সীমান্ত থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারবেন। নতুন এই ভিসা নীতি চলতি মাস থেকে কার্যকর হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন:  গ্লোবাল কোয়ালিশন ফর সোশ্যাল জাস্টিসে বাংলাদেশের যোগদান

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নিয়মের কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে অভিবাসীদের মধ্যে। বিপদে পড়তে পারেন হাজার হাজার আন্তর্জাতিক কর্মী ও শিক্ষার্থী। এর আগে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে গেলো বছরের নভেম্বরে স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট স্ট্রিম ভিসা প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছিলো কানাডা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *