আজ সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার ‘ফলোআপ বৈঠক’

সৌদি আরবের রাজধানীতে মঙ্গলবার মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। এক সপ্তাহ আগেই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রিয়াদে যুগান্তকারী আলোচনার জন্য মিলিত হয়েছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্র সোমবার বলেন, রিয়াদে মঙ্গলবার দুই পক্ষের বৈঠক হবে।

এটি গত সপ্তাহের বৈঠকের একটি ফলোআপ বৈঠক। যদিও এটি তুলনামূলকভাবে নিম্ন স্তরের বৈঠক, তবে এটি এখনো অগ্রগতির একটি ইঙ্গিত। উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নাম প্রকাশ না করেই তিনি এই তথ্য দেন।এক সপ্তাহ আগে রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের নেতৃত্বে দুই দেশের প্রতিনিধিদল বৈঠক করে।

এই বৈঠকই সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলনের ভিত্তি স্থাপন করতে পারে।এ ছাড়া রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ‘পরামর্শমূলক একটি প্রক্রিয়া’ গড়ে তোলার ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য আলোচক নিয়োগে সম্মত হয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এটাই প্রথম। এই বৈঠকের আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে একটি টেলিফোন আলাপ হয়, যা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে পশ্চিমাবিশ্বের আলাদা করে রাখার প্রচলিত কৌশলকে নস্যাৎ করে দেয়।

আরও পড়ুন:  হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের সময়সীমা জানাল ধর্ম মন্ত্রণালয়!
এ ছাড়া গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি মস্কোর সঙ্গে একটি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ‘আরো আত্মবিশ্বাসী’ বোধ করছেন। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে নিজের বাসভবনে গণমাধ্যমে কাছে পুতিনের সঙ্গে মাস শেষ হওয়ার আগেই বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘সম্ভবত।’

ট্রাম্প ইউরোপজুড়ে চমক সৃষ্টি করেন, যখন তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা ফের শুরুর এবং ইউরোপীয় দেশগুলো ও ইউক্রেনের অংশগ্রহণ ছাড়াই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর জন্য দায়ী থাকার বিষয়ে রাশিয়ার প্রচারিত বক্তব্যও পুনরাবৃত্তি করেছেন বলে মনে করা হয়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ‘ইউক্রেন ছাড়া ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা’ হওয়ার সম্ভাবনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

ট্রাম্প এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি খুব হতাশ। আমি শুনছি তারা নাকি রাগ করেছে যে তাদের বসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আজ আমি শুনলাম, ‘ওহ, আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’ তুমি তিন বছর ধরে ওখানে আছো…এটা শুরুই করা উচিত হয়নি। তুমি আগেই একটা চুক্তি করতে পারতে।”মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘আমি মনে করি, এই যুদ্ধ শেষ করার ক্ষমতা আমার আছে।’

আরও পড়ুন:  ভোটার হতে সাত দেশ থেকে ৪২ হাজার প্রবাসীর আবেদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *