‘শিক্ষার জন্য ৭ দিন হলেও কারাগারে থাকা উচিত’, বললেন পলক

সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, জেল জীবন মারাত্মক। জীবনে শিক্ষার জন্য সাত দিন হলেও কারাগারে থাকা উচিত। আমি যদি কখনো কারাগার থেকে বের হতে পারি তখনো এই কথা বলব।

আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবী ও পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।

 এদিন বেলা ১০টা ৫৮ মিনিটে আদালতের হাজতখানা থেকে পলককে বের করা হয়। এ সময় তাকে হেলমেট, হাতকড়া ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো হয়েছিল।হেঁটে আদালতে যাওয়ার পথে পলক বলেন, ‘মিথ্যা দিয়ে সত্যকে সাময়িকভাবে আড়াল করা গেলেও সত্যের জয় অনিবার্য ইনশাআল্লাহ।’ পরে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়।

আরও পড়ুন:  আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয় হবে সৌজন্য সাক্ষাৎ
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে তো নিয়মিত আদালতে আসা লাগে। তবে যেদিন আসা লাগে না। সেদিন কারাগারে হাঁটতে বের হলে জেলের বন্দিরা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ভাই আজকে আপনার অফিস নেই। আদালতে হাজিরা নিয়ে তারা মজা করে।

আদালতকে তারা আমার অফিস ভাবে।’নিজের ব্যক্তিগত আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তোমরা কথা বললেই তো রিমান্ডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তারা তো (রাষ্ট্রপক্ষ) বলেছে, রিমান্ড তো শুরু। তাই কথা বলার দরকার নেই। আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী।

এটা কোনোভাবে পরিবর্তন করা যাবে না।’পরে তিনি কাঠগড়ার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকীকে উদ্দেশ্য করে একাধিকবার সালাম দেন। তবে প্রথমে সাড়া না দিলেও পরবর্তীতে পিপি হাসতে হাসতে তার সালামের উত্তর দেন। এরপর পলক বলেন, ‘যাক এইবার পিপি স্যারের মন নরম হয়েছে।’ তবে এ সময় বিচারক এজলাসে ছিলেন না।

আরও পড়ুন:  বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ১১১ কোটি ডলার ঋণ দেবে

পরে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে এজলাসে ওঠেন বিচারক। পরে রিয়াজ হত্যা মামলায় পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তাকে আদালত থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমণ্ডির সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে আসামিদের ছোড়া গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৭ আগস্ট বিকালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আরও পড়ুন:  সন্দ্বীপ চ্যানেলে সাগরের মাঝে ১৩০ যাত্রী নিয়ে বিকল সার্ভিস বোট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *