অনেকেরই আঙুল ফোটানোর অভ্যাস আছে। আঙুল ফোটানোর সময় অনেকের ক্ষেত্রে বেশ জোরে শব্দ হয়। অনেকে বারবার এই কাজ করে থাকেন। অনেকে আবার বিষয়টিকে বার্ধক্যের লক্ষণ মনে করেন।

কেউ আবার এই শব্দ শুনলেই বিরক্ত হয়ে ওঠেন।আঙুল মটকালে কটকট শব্দ হওয়া সাধারণত ক্ষতিকর নয়। তবে আঙুল ফোটানো ভালো অভ্যাস নয়। অতিরিক্ত আঙুল ফোটালে অতিরিক্ত চাপের কারণে হাড়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে বা হাড়ের স্থানচ্যুতি ঘটতে পারে।

এ ক্ষেত্রে ব্যথা লাগলে বা অস্থিসন্ধি ফুলে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।কিন্তু কেন এমন আওয়াজ হয়?

আমাদের আঙুলের অস্থিসন্ধি বা গাঁট ‘সাইনোভিয়াল ফ্লুইড’ (অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড) নামে ঘন ও স্বচ্ছ তরল দিয়ে পূর্ণ থাকে। এই তরল লুব্রিক্যান্ট বা পিচ্ছিলকারক হিসেবে কাজ করে। এই পদার্থের সঙ্গে মিশে থাকে কিছু গ্যাস।

আরও পড়ুন:  রাজনীতি ছাড়তে চান আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী
যখন আমরা আঙুল মটকাই, তখন অস্থিসন্ধির ফাঁক সামান্য প্রসারিত হয়। এর ফলে সাইনোভিয়াল ফ্লুইডে থাকা গ্যাস বুদবুদের আকারে বেরিয়ে আসে। এই বুদবুদ ফেটে যাওয়ার কারণেই কটকট শব্দ উৎপন্ন হয়।আবার জয়েন্ট ক্যাপসুল হল অস্থিসন্ধিকে ঘিরে থাকা একটি তন্তুময় আবরণ। যখন আমরা আঙুল মটকাই, তখন জয়েন্ট ক্যাপসুলের মধ্যে সাময়িক পরিবর্তন ঘটে।

এই পরিবর্তনের কারণেও কটকট শব্দ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, হাড়ের পৃষ্ঠের সামান্য ঘর্ষণের কারণেও কটকট শব্দ উৎপন্ন হতে পারে।সাধারণত লিগামেন্ট হলো তন্তুময় টিস্যু, যা হাড়ের সঙ্গে হাড়কে যুক্ত করে। যখন আমরা আঙুল মটকাই, তখন লিগামেন্টের সামান্য স্থানান্তরের কারণেও কটকট শব্দ উৎপন্ন হতে পারে। আঙুল ফোটালে লিগামেন্টের ক্ষতি হওয়ার মতো ঘটনাও কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়। তবে এটি বিরল।

আরও পড়ুন:  দাম্পত্যে মাধুর্য বজায় থাকবে যেভাবে

সূত্র : আজকাল ডট ইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *