সচিবালয়মুখী প্রাথমিকে নিয়োগপ্রত্যাশীদের পুলিশের বাধা, জলকামান

সচিবালয় অভিমুখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বাধা দিয়েছে পুলিশ। পরে তারা রাস্তাতেই অবস্থান করেন। পুলিশ জলকামান ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।

রোববার দুপুর ৩টার দিকে আন্দোলনরতরা ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। পরে সহস্রাধিক আন্দোলনকারী শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে হাইকোর্টে মাজার রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে তারা সচিবালয়ের দিকে রওনা দেন। এ সময় পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। বিকেল চারটার কিছু আগে পুলিশ আন্দোলনকারীদের দিকে জলকামান ছোড়ে। তবে আন্দোলনকারীরা সেখানেই অবস্থান করছেন।

এর আগে শাহবাগে আন্দোলনরতরা জানান, টানা ১১ দিনের মতো তারা এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

আরও পড়ুন:  ১২টি শৈত্যপ্রবাহ মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ, থাকছে শিলাবৃষ্টিও

তারা আরও জানান, যৌক্তিক আন্দোলনে তিন দিন পুলিশ বলপ্রয়োগ করেছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবারও তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করার পাশাপাশি পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাদের ওপর জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করেছিল। ওই দিন পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটাও করে।

তিন ধাপে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা শেষে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।

নিয়োগবঞ্চিত কয়েকজন রিট করলে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। পরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন।

আরও পড়ুন:  শেখ হাসিনার সময় বাংলাদেশ দুর্নীতির সাগরে ডুবে ছিল : ড. ইউনূস

এর আগে বুধবার রাজধানীর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে আন্দোলন করেন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগবঞ্চিত ব্যক্তিরা। পরে গত বৃহস্পতিবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে শাহবাগ থেকে তাদের সরিয়ে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *