বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অতি চমৎকার : প্রধান উপদেষ্টা

ভৌগোলিকগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অতি চমৎকার বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস আয়োজিত সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আমরা খুবই সুবিধাজনক অবস্থায় আছি। এই সুবিধা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে আমাদের ভালো করার সুযোগ আছে।

হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হতাশ হবেন না, আমি হতাশ হই না। আমাদের এখানের মানুষদের এক সময় বোঝা মনে করা হতো। আমি তাদের সম্পদ মনে করি। আগামী দিনে আমাদের এখান থেকে অনেক কর্মী নেওয়া হবে।
আমরা তেমন করেই নিজেদের গড়ে তুলতে চাই।’ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বহু আগে ১৯৮৭ সালে একটা সম্মেলনে আমাকে ডাকা হয়েছিল এখানে। তখন একটা প্রবন্ধ পাঠ করেছিলাম। এর শিরোনাম ছিল ‘গ্রোয়িং আপ উইথ জায়ান্টস’।
আমি ব্যাখ্যা করেছিলাম, আমাদের বাংলাদেশের একটি সুবর্ণ সুযোগ, জাতি হিসেবে আমাদের যে অবস্থান, চমৎকার অবস্থান।”আমাদের দুই পাশে দুই মহাশক্তি ভারত আর চীন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশ দুটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে, আমরা যেহেতু মাঝখানে আছি, তারা আমাদের ফেলে যেতে পারবে না। তাদের বাতাসে আমরা উড়তে থাকব। সেই থেকে আমার বদ্ধমূল ধারণা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অতি চমৎকার, এর ভৌগোলিকগত অবস্থানের কারণে।’তিনি বলেন, ‘আমাদের অপূর্ব সুযোগ, আমাদের সামনে বিস্তীর্ণ মহাসাগর।

আরও পড়ুন:  যমুনা অভিমুখে জুলাই আন্দোলনে আহতরা, ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশের বাঁধা
আমাদের উপকূল এক মস্ত বড় সুযোগ। পৃথিবীর দরজা আমাদের সামনে খোলা। আমরা এত দিন ব্যবহার করতে জানিনি। এখন যে মুহূর্তে এর ব্যবহার শুরু করব, আমাদের অর্থনীতিকে কেউ লোহার দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে পারবে না।’তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের উত্তরে হলো বিখ্যাত হিমালয় পর্বতমালা, যেখানে জমে আছে শক্তি, হাইড্রোপাওয়ার। কত শক্তি দরকার বাংলাদেশের, সেখানে সব জমা আছে। নেপাল জলবিদ্যুৎ দিতে রাজি, আমরাও নিতে রাজি। মাঝখানে ভারতের ৪০ কিলোমিটার পথ বাধা হয়ে আছে। তবে আশা করি ভারত তাদের স্বার্থের কারণেই দেবে। বাংলাদেশকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *