কুমিরা-সন্দ্বীপ রুটে ফেরি মার্চে

আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের কুমিরা-সন্দ্বীপ রুটে ফেরি চলাচল।  প্রথমবারের মতো এই সার্ভিস চালুর মাধ্যমে সন্দ্বীপ যাতায়াতে যুগান্তকারী পরিবর্তন হতে চলেছে বলে মনে করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রে চলাচলে যথাযথ নিরাপত্তা ও আগাম সমীক্ষা প্রয়োজন।

বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল, অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই ট্রলারে পারি দেন দ্বীপের মানুষ। ৪ লাখ জনসংখ্যার দ্বীপটিতে যাতায়াতে এর বাইরে আর কোনো রুট নেই। এই ভ্রমণ নিরাপদ ও সহজ করতে, ফেরি সার্ভিস শুরুর উদ্যোগ নেয় সরকার।

এজন্য সন্দ্বীপ এবং সীতাকুণ্ডের কুমিরায় ফেরির জন্য অবকাঠামো তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। এছাড়া, সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো আর জনবল নিয়োগও শুরু করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

মার্চেই এই সার্ভিস শুরু করতে চায় কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে পুরোনো ফেরি দিয়ে শুরু হবে চলাচল। পরে এই রুটের জন্য বিশেষভাবে ফেরি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

আরও পড়ুন:  হজে যাওয়ার আগে যা করণীয়

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘আমাদের কাছে বর্তমানে যে ফেরিগুলো আছে, ৬টি ফেরি আছে আমরা চেষ্টা করব সেখান থেকে একটা ফেরি দিয়ে চালানোর জন্য।’বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় ১৭ কিলোমিটারের চ্যানেলে, ফেরি চালানোর আগে যথাযথ সমীক্ষা জরুরি। বর্ষায় উত্তাল নৌপথে আদৌ এই সার্ভিস দেয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।

বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ‘ক্লাসিফাইড বিভিন্ন কোম্পানি আছে, বিভি সার্টিফিকেট লাগে আরকি ওই সার্টিফিকেটসহ ফেরি এই মুহূর্তে নেই বলে আমি জানি। এখন হয়ত আমরা টেম্পরারি ঘাট যেহতু নির্মাণ করেছি, টেম্পরারি কিছু ফেরি যেগুলো ইনল্যান্ড বিভিন্ন রুটে চলাচল করে  সেগুলো আমরা নিয়ে আসব। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, নাহলে ফেরি চলাচল করা যাবে না।’

আরও পড়ুন:  লাউয়ের রসের যত উপকার

এদিকে, ফেরি চালুর ঘোষণায় খুশি দুই তীরের মানুষ। তবে ঘাটগুলো জোয়ারভাটা হিসাব করে তৈরির দাবি তাদের।

এতোদিন সন্দ্বীপে যাত্রী পারাপারের ঘাটগুলো জেলা পরিষদের আওতাধীন ছিল। আগামী বুধবার এসব ঘাটের দায়িত্ব নেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *