নিম্নে শয়তানের প্রভাব থেকে সুরক্ষার কিছু আমল বর্ণনা করা হলো—
১. রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া : আবু মাসউদ (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, কেউ যদি রাতে সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করে, সেটা তার জন্য (বিপদ-আপদ ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে) যথেষ্ট।
৩. পানাহারের সময় আল্লাহর নাম নেওয়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : ‘যখন কোনো ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশ করে এবং খাবার গ্রহণের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে, তখন শয়তান হতাশ হয়ে (তার সঙ্গীদের) বলে, তোমাদের (এখানে) রাত যাপনও নেই, খাওয়াও নেই।
৬. শয়তানের প্রিয় বস্তু ঘরে না রাখা : শয়তানের প্রিয় জিনিস থেকে ঘর মুক্ত রাখতে পারলে শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
তাফসিরবিদদের মতে, গানবাজনা হলো শয়তানের আওয়াজ। কাজেই ঘর গানবাজনামুক্ত থাকলে শয়তানের প্রভাবমুক্ত থাকে।
৮. ঘরে প্রবেশের সময় দোয়া পড়া : রাসুলুল্লাহ ( সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যখন তার ঘরে ঢোকে, তখন যেন সে বলে—উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাল মাওলিজে ওয়া খাইরাল মাখরিজি বিসমিল্লাহি ওলাজনা ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা, ওয়া আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ঘরে প্রবেশের ও বের হওয়ার কল্যাণ চাই। আল্লাহর নামে (ঘরে) প্রবেশ করি এবং আল্লাহর নামে ঘর থেকে বের হই; আর আমাদের রব আল্লাহর ওপর ভরসা রাখি। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৯৬)
৯. ঘরে কোনো বিছানা বিছিয়ে পরিত্যক্ত না রাখা : যে বিছানায় দীর্ঘদিন ধরে কেউ থাকে না অথচ তা বিছিয়ে রাখা হয়, এমন বিছানায় শয়তান আশ্রয় নেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘একটি বিছানা ব্যক্তির জন্য, একটি তার পরিবারের জন্য, একটি অতিথির জন্য, আর চতুর্থটি শয়তানের জন্য।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৩৩৮৫)
১০. বাথরুমে প্রবেশের সময় দোয়া পড়া : টয়লেট ও গোসলখানা মানুষের জন্য স্পর্শকাতর স্থান। এগুলোর ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সাধারণত পায়খানার স্থানে শয়তান এসে থাকে। সুতরাং তোমাদের কেউ পায়খানায় প্রবেশ করলে যেন বলে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবায়িস।’ অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে শয়তান ও যাবতীয় নোংরা বিষয় থেকে আশ্রয় চাই। (আবু দাউদ, হাদিস : ৬; বুখারি, হাদিস : ৬৩২২)