লিবিয়া উপকূলে ২০ বাংলাদেশির মরদেহ ভেসে আসার খবর

ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবির পর লিবিয়ার ব্রেগা উপকূলে ভেসে আসছে মরদেহ। ডুবে মরে যাওয়া অভিভাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে এ পর্যন্ত সেখানে ২০ বাংলাদেশির মরদেহ পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র। তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত করা হয়নি।

শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় ২০ বাংলাদেশি মারা গেছেন। তবে আমরা এখনও চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।

বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি লিবিয়া উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগরে হয়ে একটি নৌকা ইতালির উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। ওই নৌকায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। নৌকাটি ডুবে গিয়ে লাশ ভেসে আসছে লিবিয়া উপকূলে। তবে ওই নৌকায় ঠিক কতজন বাংলাদেশি ছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি।

আরও পড়ুন:  চীনমুখী হচ্ছে বাংলাদেশ - যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল কাজ করছে না

এদিকে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগা তীরে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের মতে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়ার পর এসব মরেদেহ ব্রেগা তীরে ভেসে এসেছে। উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক থাকার আশঙ্কার কথা বিভিন্ন সূত্রে জানা গেলেও, এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে, উক্ত দুর্ঘটনায় মৃত, আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে যে কোনো তথ্য জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। তথ্য জানাতে ফেসবুক কমেন্টে অথবা দূতাবাসের নিম্নোক্ত দাপ্তরিক মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে: +২১৮৯১৬৯৯৪২০২ এবং +২১৮৯১৬৯৯৪২০৭।

আরও পড়ুন:  বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইতালির ব্যবসায়ীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

উল্লেখ্য, নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *