অভিযানে অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কাগজপত্রহীন ১ কোটি ১৭ লাখ অভিবাসীর মধ্যে। এই সঙ্গে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে রেস্টুরেন্ট, গ্রোসারি, নিউজ স্ট্যান্ডসহ নানান সেক্টরে।

জানা গেছে, নিউইয়র্কে আগে থেকেই ৫ লাখের অধিক অবৈধ অভিবাসী ছিলেন। গত চার বছরে সে সংখ্যায় যোগ হয়েছে আড়াই লাখ। এসব অভিবাসীর অনেকেই রেস্টুরেন্ট, নিউজ স্ট্যান্ড অথবা গ্রোসারি স্টোরে কাজ করছেন। ট্রাম্পের অভিযান শুরু হওয়ায় সবাই এখন গা ঢাকা দিয়েছেন। এর ফলে রেস্টুরেন্টসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। কারণ সিটিজেনদের নিয়োগ করলে ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টা হিসেবে বেতন (১৬.৫০ ডলার করে) দিতে হবে। অবৈধদের তার অর্ধেকেরও কম দিয়েই চালিয়ে নেওয়া যায়। একইভাবে লস অ্যাঞ্জেলেস সিটিতেও সাড়ে ৯ লাখের মতো অবৈধ অভিবাসী আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

আরও পড়ুন:  সমন্বয়কদের নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, সানফ্রান্সিসকো, ফিলাডেলফিয়া, বস্টন, ডেনভার, আটলান্টা, সিয়াটল, মায়ামি, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগোসহ বিভিন্ন সিটিতে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এজেন্টরা মাঠে নেমেছেন। চলছে গ্রেপ্তার অভিযান। রেস্টুরেন্ট, গ্রোসারি স্টোর এবং নিউজ স্ট্যান্ডসহ খুচরা অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় পরিশ্রমী মানুষের পেটে লাথি মারার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত সংগঠন এবং আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় ফ্লোরিডার রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান মারিয়া সালাজার অভিবাসী তাড়ানোর ঢালাও অভিযান বন্ধের জন্য কংগ্রেসে বিল পাসের দাবি জানিয়েছেন।

আরিজোনার কংগ্রেসওম্যান (ডেমোক্র্যাট) ইয়াসামিন আনসারি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ট্রাম্পের এই নির্দেশ জারির পর চিহ্নিত একটি দুর্বৃত্ত চক্র অভিবাসী-সমাজে ফোন করছে এবং গ্রেপ্তার-অভিযান থেকে রক্ষার অঙ্গীকার করে নগদ ফি চাচ্ছে। আইনগত সুবিধার নিশ্চয়তা দিয়ে এমন প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছে এবং ইয়াসামিন আনসারির নির্বাচনি এলাকার অনেক মানুষ ইতোমধ্যেই ভিকটিম হচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *