গাজায় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি শুরু

ফিলিস্তিনের গাজায় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা বিলম্বের পর আজ রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে এটি কার্যকর হয়।

মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আল–আনসারি আজ এক বিবৃতিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ওই যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা জানান।

গতকাল শনিবার ভোরের দিকে ইসরায়েলের জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন পায়।

এর আগে গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আজ সকাল থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজার বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছিলেন, হামাস মুক্তি দিতে যাওয়া বন্দীদের নাম প্রকাশ না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না।

আরও পড়ুন:  গাজায় হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একমত নন আরব নেতারা

হামাস জানায়, ‘কারিগরি’ সমস্যার কারণে বন্দীদের নাম প্রকাশে তাদের কিছুটা দেরি হয়েছে। পরে হামাস প্রথমে তিন নারী বন্দীর নাম প্রকাশ করে তাদের মুক্তির প্রক্রিয়ার কথা জানায়।

তারা হলেন রোমি গোনেন, এমিলি ডামারি এবং ডোরন স্টেইনব্রেচার।

ডোরন স্টেইনব্রেচার ৩১ বছর বয়সী একজন ভেটেরিনারি নার্স। ৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায়  তিনি হামাসের হাতে বন্দী হন। ২৮ বছর বয়সী এমিলি ডামারি ব্রিটিশ-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক। তিনি কিবুতজ কফর আজা থেকে বন্দী হয়েছিলেন।

২৪ বছর বয়সী রোমি গোনেন সুপারনোভা উৎসব থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় হামাসের হাতে বন্দী হন।

দশকের পর দশক নিপীড়ন-দখলদারিত্বের জবাব দিতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করে। এতে প্রায় এক হাজার ২০০ লোক নিহত এবং ২৫১ জন হামাসের হাতে জিম্মি হয়।

আরও পড়ুন:  গাজায় তিন দিনে ২০০ শিশুর প্রাণ কাড়ল ইসরায়েল

জবাবে ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে। সেই থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকাটিতে প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানায় হামাস-শাসিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘ গাজাকে শিশুদের গোরস্থান বলে অভিহিত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *