৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া বেশিরভাগই নিয়োগ পাবেন: জনপ্রশাসন সচিব

৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়াদের মধ্যে বেশিরভাগই পুনরায় চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান। বৃহস্পতিবার দুপুরে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়াদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের পুনরায় তদন্ত হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধে জড়িত ছাড়া বাকিরা সবাই নিয়োগ পাবেন।’

তিনি বলেন, গেজেটে যারা বাদ পড়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ না থাকলে তারা চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন। ৪৩তম বিসিএসের গেজেটে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের আবেদন নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

৪৩তম বিসিএস থেকে ২২৭ জন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবং ৪০ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার কারণে বাদ পড়েছেন বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত এই চাকরিপ্রত্যাশীরা পুনর্বিবেচনার আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:  যুগ্ম সচিব পদে ১৯৬ কর্মকর্তার পদোন্নতি

২ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. উজ্জ্বল হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় গত বছরের জানুয়ারিতে ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর নিয়োগের সুপারিশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পরে গত ১৫ অক্টোবর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও জেলা প্রশাসকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৫৯ জনকে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় ৪০ জনকে বাদ দিয়ে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর পর নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আসে।

মন্ত্রণালয় বলছে, সমালোচনা এড়াতে ‘ক্লিন ইমেজ’ প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে আগে সুপারিশ করা ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআইর মাধ্যমে আবার যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনএসআই ও ডিজিএফআইর প্রতিবেদনে ২২৭ প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া যায়। এ কারণে তাদের সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয়। এ বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন:  প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন সাংবাদিক মনির হায়দার

পরে গত ৩০ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিবেচনায় অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জন পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। পুনর্বিবেচনার আবেদনের সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *