বাংলাদেশে সামরিক অস্ত্র রপ্তানি করতে চায় তুরস্ক

বাংলাদেশে তৈরিপোশাক, ওষুধ, খাদ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পাশাপাশি সামরিক অস্ত্র রপ্তানি করতে চায় তুরস্ক। এদিকে বাংলাদেশ চায় তুরস্কে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমর বোলাটের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের বৈঠকে এসব প্রস্তাব আসে। 

বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৩০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে তুরস্কের। দেশটি এলপিজি, সিঙ্গার ইলেকট্রনিক্স ও কোকাকোলা বোটলিংয়ে বিনিয়োগ করেছে। নতুন করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, মেশিনারিজ ইন্ডাস্ট্রিজ, অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিনিয়োগের কার্যকর দিক উন্মোচনে বৈঠকে বসবে দুই দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সামরিক বাণিজ্যে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তুরস্ক বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করে।তারা যুতসই সামরিক সরঞ্জামে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে, আমাদেরও আগ্রহ রয়েছে। বিষয়গুলো জয়েন ইকোনমিক কমিশনে আলোচনা হবে।

আরও পড়ুন:  ঢাকায় ফের আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল

তুরস্ক কি বাংলাদেশে সামরিক অস্ত্র রপ্তানি করতে চায়- এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে তাদের আগ্রহ রয়েছে।’ তবে কি ধরনের অস্ত্র রপ্তানি করতে চায় দেশটি সেই প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব বিষয় প্রতিরক্ষা বিভাগ ঠিক করবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুধু বাণিজ্যিক বিষয় দেখবে।’

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ বছরে তুরস্কে রপ্তানি করে ৫০ কোটি ডলার এবং তুরস্ক থেকে আমদানি হয় ৪৫ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ  আমদানির চেয়ে রপ্তানি একটু বেশি। এর মধ্যে গত বছর তুরস্কে রপ্তানি ৩০ শতাংশের মতো বেড়েছে।’

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। কিন্তু তুরস্ক নিজেই তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। তাই বাংলাদেশ সেদেশে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়না। তারা যেন শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়, সেই দাবি জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *