পদত্যাগ করছেন জাস্টিন ট্রুডো!

রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিরোধীরা তো বটেই নিজ দল লিবারেল পার্টিতেও ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের মুখে ট্রুডোর জনসমর্থন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দলের মধ্যে থেকেই উঠছে পদত্যাগের দাবি। এমন অবস্থায় লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন জাস্টিন ট্রুডো।

দীর্ঘদিন ধরেই দেশের রাজনীতিতে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিরোধীরা তো বটেই, দলের মধ্যে থেকেই উঠছে পদত্যাগের দাবি। এমন অবস্থায় শোনা যাচ্ছে পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী।

সেই ঘোষণাও আবার দিতে পারেন সোমবারের (৬ জানুয়ারি) মধ্যেই। বেশ কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে কানাডার সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইলের রিপোর্টে এই তথ্য সামনে আনা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

আরও পড়ুন:  যে কারণে গদি ছাড়তে হলো জাস্টিন ট্রুডোকে

বার্তাসংস্থাটি বলছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবারের মধ্যে লিবারেল পার্টির নেতা হিসাবে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল রোববার তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে।

সূত্রগুলো গ্লোব অ্যান্ড মেইলকে বলেছে, তারা নিশ্চিতভাবে জানেন না যে— ট্রুডো কখন তার চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন। তবে তারা আশা করেন, বুধবার অনুষ্ঠিতব্য প্রধান একটি জাতীয় ককাস বৈঠকের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন তিনি।

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবশ্য এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

গ্লোব অ্যান্ড মেইলের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ট্রুডো এখনই তার পদ ছেড়ে চলে যাবেন নাকি নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রুডো ২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির নেতা হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেসময় কানাডিয়ান এই দলটি গভীর সমস্যায় পড়েছিল এবং প্রথমবারের মতো হাউস অব কমন্সে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন:  যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার থেকে রোজা শুরু

রয়টার্স বলছে, ট্রুডোর সম্ভাব্য এই পদত্যাগের ফলে দেশটির ক্ষমতাসীন এই দলটিকে এমন এক সময়ে স্থায়ী প্রধান ছাড়াই রাজনৈতিক ময়দানে ছেড়ে দেবে যখন জরিপগুলোতেও দেখা যাচ্ছে যে— চলতি বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে হওয়া নির্বাচনে লিবারেলরা রক্ষণশীলদের কাছে খারাপভাবে হেরে যাবে।

অবশ্য ট্রুডোর পদত্যাগের ফলে নতুন সরকার গঠনের জন্য দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানানোরও সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্কের সাথেও আলোচনা করেছেন যে— তিনি অন্তর্বর্তীকালীন নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে ইচ্ছুক কিনা। একটি সূত্র কানাডিয়ান সংবাদপত্রকে এই তথ্য জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *